সংক্ষিপ্ত

বিশেষ প্রোটিন প্রয়োগ করে ইঁদুরের বয়স কমাতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এবার কি তবে বয়স ধরে রাখতে পারবে মানুষ?

বিজ্ঞানের অনন্য আবিষ্কার। চাইলে কি না অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন তারা! মানুষরূপী ভগবানদের নতুন আবিষ্কার কিন্তু হার মানাতে পারে যেকোনো কল্পবিজ্ঞানের গল্পকেও! শুনতে অসম্ভব লাগলেও সম্প্রতি গবেষণাগারে এক ইঁদুরের বয়স কমাতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা মাইক্রো বায়োলজির গবেষক ডেভিড সিঙ্কলেয়ারের নেতৃত্বে পরীক্ষাগারেই একটি ইঁদুরের বয়স কমিয়ে ফেলেছেন! কি করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করলেন তারা? কি তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি? তাদের থেকে জানা গেলো কিছু বিশেষ প্রোটিন নাকি পূর্ণবয়স্ক কোষকে পুনরায় স্টেম সেলে রূপান্তরিত করতে পারে। ২০২০ সালে এই পদ্ধতির ব্যবহার করে একটি ইঁদুরের চোখ পর্যন্ত ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলেন তারা। বয়সের কারণে ইঁদুরটির রেটিনা  নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু বিজ্ঞানীরা কিছু বিশেষ প্রোটিন ব্যবহার করে ওই কোষ গুলিকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হন। জাপানি বিজ্ঞানী শিনইয়া ইয়ামানাকা ২০০৭ সালে কৃত্রিমভাবে ত্বকের বয়স বৃদ্ধি করতে সক্ষম হন। তার সেই আবিষ্কার তার ঝুলিতে নোবেল পুরস্কারও এনে দিয়েছে।

ইঁদুরের বয়স কমানোর সাম্প্রতিক আবিষ্কার আসলে এই পদ্ধতিটির বিপরীত। বিজ্ঞানীরা বহু দিন ধরেই সেটির চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। ঠিক কি সেই নতুন আবিষ্কার? একই সঙ্গে জন্ম নেওয়া দু’টি ইঁদুরের উপর পরীক্ষা চালানোর সময় একটি ইঁদুরে বিশেষ কিছু প্রোটিন ও জিনগত বদল ঘটান বিজ্ঞানীরা। দেখা গিয়েছে, একটি ইঁদুর ক্রমশ বৃদ্ধ হয়ে গেলেও অপর ইঁদুরটির উপর কোনো বয়সের প্রভাব পড়েনি। ইঁদুরটির শরীরে ব্যবহার করা বিশেষ প্রোটিন গুলিই তার বয়সকে বাড়তে দিচ্ছেনা। ইঁদুরের বয়স এক জায়গায় ধরে রাখার এই কৃত্রিম ক্ষমতা আশা যোগাচ্ছে মানুষের বার্ধক্য রোধ করার। কি জানি সেই দিন হয়তো আর বেশি দূরে নেই যেদিন মানুষের বয়সও এক জায়গায় ধরে রাখা সম্ভব হবে। বিজ্ঞানীদের অবিশ্বাস্য আবিষ্কার গুলিই মানব জীবনের আশা বাড়িয়ে চলেছে। 

আরও পড়ুন:

শ্রীসন্থকে চড় মেরে কী ঠিক করেছিলেন, ১৪ বছর পর জানালেন হরভজন সিং

বিশ্ব পরিবেশ দিবসে নিন বিশেষ অঙ্গিকার, সহজ কয়টি অভ্যেসের বদলে পরিবেশ রক্ষা করা সম্ভব

সুগন্ধির বিজ্ঞাপনে ধর্ষণ সংস্কৃতির প্রচার, প্রতিবাদ জানালেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, ফারহান আখতার, রিচা চাড্ডা
মানুষের জীবনের প্রধান দুটি চরম ব্যাধি হলো জরা এবং মৃত্যু। সেই জরাকেই যদি আটকে দেওয়া হয় তবে কে বলতে পারে যে মানুষ হয়তো একদিন অমরত্ব লাভ করবে।
তবে বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা, গবেষণাটি জীববিদ্যার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের রাস্তা দেখিয়ে দিলেও গোটা বিষয়টি নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্তে আসা উচিত হবে না। বিষয়টি নিয়ে এখনও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন।