সংক্ষিপ্ত

গবেষণা বলছে, নিয়মিত ১ টা বা ২ টো করে ডিম খেলে ডায়াবেটিসের প্রবণতা প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়। এই প্রবণতা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি লক্ষনীয়।
 

ব্রেকফাস্ট হোক বা লাঞ্চ বা ডিনার, এই তিন ক্ষেত্রেই কিন্তু ডিমের(Egg) জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে ব্রেকফাস্টে ব্রেড-বাটারের সঙ্গে যদি একটা ডিম সিদ্ধ হয় তাহলে তো ব্রেকফাস্ট একেবারে হিট। অনেকেই বলে থাকেন রোজ একটা করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার। একটার জায়গায় দুটো ডিম খেলেও সেটা খুব একটা ক্ষতিকারক হয় না। কিন্তু এমন যদি কখনও হয় যে, কেও ডিম ভালোবাসেন মানেই দিনে ৩-৪ টে ডিম খেয়ে ফললেন তাহলেই কিন্তু বিপত্তি। কারন গবেষণা(New Research) বলছে, প্রতিদিন একটা থেকে দুটো ডিমে যে উপকার পাওয়া যায় তার অধিক সংখ্যক ডিম কিন্তু বিপদ ডেকে আনে। বিশেষ করে যারা ডায়াবেটিসের রোগী তাঁদের জন্য সেটা খুবই ক্ষতিকর। এছাড়াও যারা সুস্থ তাঁরা যদি বেশি মাত্রায় ডিম খান(Not To eat More eggs) তাহলে ডায়াবেটিস হওয়ার প্রহল সম্ভবনা রয়েছে। চিনের(China) মানুষের ওপর করা একটি গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে, যারা নিয়মিত ১ টা বা ২ টোর বেশি ডিম খান তাঁদের  ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা প্রায় ৬০ শতাংশ বেড়ে যায়। আর এই প্রবণতা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি লক্ষনীয়। স্বাস্থ্য বিশষজ্ঞ(Health Expart) মিজ্ঞ লি-র মতে, ডায়াবেটিসকে কখনই বাড়তে দেওয়া উচিত নয়। এই রোগটিকে সর্বদা নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। চিনা মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি ও কাতার ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যেোগে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি দ্বারা পরিচালিত দীর্ঘ দিনের গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল অধিক সংখ্যক ডিম খাওয়ার এই বিষয়টি।  আর সেখানেই প্রথম চিনের প্রাপ্তবয়স্কদের একটা স্যাম্পল এই গবেষণার কাজে ব্যবহার করা হয়। উল্লেখ্য, মোটামুটি ৫০ বছরের আশেপাশে যারা রয়েছেন এমন ৮ হাজার ৫৪৫ জন চিনা নাগরিক চিনা হেল্থ অ্য়ান্ড নিউট্রিশন সার্ভেতে অংশ গ্রহণ করেছিল। 

স্বাস্থ্য বিশষজ্ঞ মিজ্ঞ লি বলেন, ডায়েট হল এমন একটি বিষয় যেটি একাধারে পরিচিত আবার পরিবর্তনযোগ্যও। যার ফলে দুধরনের ডায়াবেটিস হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাই ডায়েটের খাদ্যতালিকাটা এমন হওয়া উচিত যাতে সেখানে রোগ প্রতিরোধের একটা ক্ষমতা থাকে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বিগত কয়েক দশক ধরে লক্ষ্য করে দেখেছেন চিনের মানুষরা ট্র্যাডিশনাল ডায়েটকে মোটেই পছন্দ করছেন না। শাক-সবজির বদলে মুখোরোচক ডায়েটে মেতেছে তাঁরা। একইসঙ্গে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯১ থেকে ২০০৯ সালে চিনের মানুষ যা ডিম খেত বর্তমানে সেই খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। নিউট্রিশন সংক্রান্ত ব্রিটিশ জার্নালে এই বিষয়টির উল্লেখ করেছেন স্বাস্থ্য বিশষজ্ঞ মিজ্ঞ লি। এই গবেষণার উদ্দেশ্য হল খনই ডিম খাওয়া আর ডায়াবেটিসের বিষয়টি নিয়ে তর্কের সৃষ্টি হয় তখন তাঁদের সামনে এই বিষয়টিকে তুলে ধরা এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকির কথা বোঝানো। সেই সঙ্গে খালি পেটে ডায়াবেটিস টেস্টেরও পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। 

আরও পড়ুন-Egg Recipe: অনেক হয়েছে ডাল মাখানি, এবারে চেখে দেখুন অন্য স্বাদের ডিম মাখানি

আরও পড়ুন-Product Storage Guideline-ডিমও চিকেনের দামের বাড়বাড়ন্ত,স্টক মজুতের ওপর সময়সীমা বেঁধে দিল কেন্দ্র

যে সমস্ত প্রাপ্তবয়স্ক চিনা নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরে একটা করে ডিম খেয়ে আসছেন তাঁদের মধ্যেডায়াবেটিসের প্রবণতা রয়েছে ২৫ শতাংশ। আর যারা দৈনিক এক বা দুইয়ের অধিক সংখ্যক ডিম খান তাঁদের মধ্যে ৬০ শতাংশ ডায়াবেটিসের প্রবণতা রয়েছে। গবেষণায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশষজ্ঞ মিজ্ঞ লি।