সংক্ষিপ্ত
ডায়েট, ব্যায়াম এবং প্রচুর জল পানের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও আয়ুর্বেদে এমন অনেক প্রতিকার রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে। আসুন জেনে নেই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণের আয়ুর্বেদিক প্রতিকার।
আজকাল বেশিরভাগই জয়েন্টে ব্যথা এবং পা-হাত ফোলা সমস্যায় ভুগছে। খুব অল্প বয়সে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার কারণে এই সমস্যা হয়। উচ্চ ইউরিক অ্যাসিড জয়েন্টগুলিকে প্রভাবিত করে। এতে বাতের মতো সমস্যা হয়। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি হলে তা জয়েন্টে ক্রিস্টালের আকারে জমা হয়, যা জয়েন্টে সমস্যা সৃষ্টি করে। কিডনি ইউরিক অ্যাসিড ফিল্টার করার কাজ করে, কিন্তু যখন তা বেড়ে যায় তখন সমস্যা শুরু হয়। তবে ডায়েট, ব্যায়াম এবং প্রচুর জল পানের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এছাড়াও আয়ুর্বেদে এমন অনেক প্রতিকার রয়েছে যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে। আসুন জেনে নেই ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণের আয়ুর্বেদিক প্রতিকার।
ইউরিক এসিড নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা
১) পুনর্নবা ক্বাথ- ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে পুনর্নবা ক্বাথ পান করুন। এটি এমন একটি ভেষজ যা জয়েন্টে প্রদাহের সমস্যা কমায়। ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে জয়েন্টগুলি ফুলে যায়, তবে পুনর্নভা টয়লেটের মাধ্যমে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেওয়ার কাজ করে। এটি ফোলাভাবও কমায়।
২) কালো কিশমিশ- ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থাকলে কালো কিশমিশ খান। কালো কিশমিশ বাত এবং হাড়ের ঘনত্বের জন্য ভাল বলে পরিচিত। এ জন্য রাতে ১০-১৫টি কালো কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রাখুন, সকালে জল পান করুন এবং কিসমিস চিবিয়ে খান।
৩) ধূনো- হাড় সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে ধূনো ব্যবহার করুন। অনেক ধরনের ধূনো আছে, যেগুলো মিশিয়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করা হয়। এটি জয়েন্টের ব্যথা এবং ফোলা কমায় এবং ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ করে।
৪) আদা ও কাঁচা হলুদ- ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে শুকনো আদা ও হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করুন। শুকনো আদা ও কাঁচা হলুদ এই দুটি জিনিস খেলে জয়েন্টের ব্যথায় আরাম পাওয়া যায়। জলে শুকনো আদা ও হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ব্যথার জায়গায় লাগান।
আরও পড়ুন- স্যানিটারি প্যাডের ভুল ব্যবহারে যোনিপথে হতে পারে সংক্রমণ, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের মত
আরও পড়ুন- মহিলাদের প্যান্টিতে ব্লিচের মত ছোপ দেখা যায়, কেন এমনটা হয় জেনে নিন কারণ
আরও পড়ুন- আপনার পিরিয়ডস কি ভীষণ ভাবে অনিয়মিত, তাড়াতাড়ি পিরিয়ড হওয়ার সহজ উপায়
৫) গুলঞ্চ- এটি এমন একটি ওষুধ যা ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে খুব ভালো বলে মনে করা হয়। এর ফলে শরীরে পিত্তের পরিমাণ কমে যায় এবং বাত দোষও কমে যায়। এর সেবনে রক্তে ইউরিক অ্যাসিডও কমে যায়। জয়েন্ট ফোলা এবং ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এটি একটি কার্যকর ভেষজ।