সংক্ষিপ্ত
- কামনার আবেগহীনতায় কী ঘটতে পারে এটা তার প্রমাণ
- এখানে এমন এক ঘটনা ঘটেছে যা হতবাক করে দেবে
- এক চিকিৎসক খোদ নিজের মুখে সে কথা জানিয়েছন
- এই ঘটনা তাঁর জীবনের সবচেয়ে অস্বস্তিকর দিন ছিল
কত কিছু-ই না ঘটে। কামনার চরম আর্তি মেটাতে মানুষ কোন পর্যায়ে যেতে পারে তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে, এই পরিস্থিতি একটু সচেতনশীল থাকা দরকার তা নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। এমনকী এক মহিলা চিকিৎসক এক ঘটনার কথা মেলে ধরেছেন যা যৌনতার ক্রীড়ায় মাততে পছন্দ করা প্রতিটি মানুষেরই জানা দরকার। কারণ, এই সচেতনতা না থাকলে প্রাণও যেতে পারে অথবা সারাজীবনের মতো অসাড় হয়ে যেতে পারে শরীর।
আরও পড়ুন- হস্তমৈথুন কি মহিলাদের ক্ষেত্রে শারীরিক অসুবিধা তৈরি করতে পারে, কী বলছে চিকিৎসাবিজ্ঞান
শ্রেয়া থ্যাকার নামে এক মহিলা চিকিৎসক এই ঘটনার অবতারণা করেছেন। একটি বিখ্যাত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন শ্রেয়া। তিনি একজন ফিজিক্যাল অ্যান্ড রেসপিরেটরি থেরাপিস্ট। একটি সোশ্য়াল মিডিয়া সাইটে শ্রেয়াকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে চিকিৎসক জীবনে তাঁর সবচেয়ে বড় অস্বস্তিকর মুহূর্ত কোনটি? এর উত্তরই সেখানে শেয়ার করেছেন মুম্বইয়ের এই চিকিৎসক।
আরও পড়ুন- আপনার মেয়ে কি 'হস্তমৈথুন' করছে, বাবা-মা হিসাবে জানুন পরিস্থিতি সামলানোর কৌশল
শ্রেয়া জানিয়েছেন, একদিন হাসপাতালে তাঁকে এক রোগীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে হয়। কারণ ওই রোগী-র পায়ুদ্বারে একটি সেক্স-টয় আটকে ছিল। সবচেয়ে বড় বিষয় সেক্স-টয়টি এত জোরে পায়ুদ্বারে প্রোথিত করা হয়েছিল যে তা রেকটাম দিয়ে সোজা কোমরের কাছে চলে গিয়েছিল। রোগীকে জিজ্ঞাসা করে শ্রেয়া জেনেছিলেন যে পেনিস জাতীয় এই সেক্স-টয়টি মুম্বইয়ের একটি দোকান থেকে তিনি কিনেছিলেন। যৌন ক্রীড়ার সময় ওই রোগী একা একাই সেক্স-টয়-টিকে পায়ুদ্বারে ঠেলেছিলেন না অন্য কেউ সঙ্গে ছিল তা নাকি জানতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন- সন্তানকে নিয়ে বয়ঃসন্ধির সমস্যায় ভুগছেন, রইল সমাধানের উপায়
পায়ুদ্বারে সেক্স-টয়টি পুরো ঢুকে যেতেই আতঙ্কে পড়ে গিয়েছিলেন ওই রোগী। নিজে নাকি অনেক চেষ্টা করেছিলেন বের করার, কিন্তু এই কসরতে তা রেকটামের অনেকটা গভীরে চলে যায়। দুই দিন ধরে স্বাভাবিক রেচন ক্রীয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ওই রোগীর। প্রবল যন্ত্রণা এবং প্রবল অস্বস্তি নিয়ে ঘটনার দিন কয়েক পরে হাসপাতালে এসেছিলেন ওই ব্যাক্তি।
শ্রেয়া জানিয়েছেন, এমন ঘটনার মুখোমুখি তিনি কোনওদিন হননি। কিন্তু চিকিৎসক হিসাবে তাঁকে তাঁর কাজ করাটা দরকার ছিল। তাই যাবতীয় অস্বস্তি ঝেড়ে ফেলে তিনি ওই রোগীর চিকিৎসা করেন। অস্ত্রোপচার করে সেই সেক্স-টয়টি কে রেকটাম থেকে বের করা হয়। এমনকী, অস্ত্রোপচারের পর ওই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতিও ঘটে। যার জন্য আইসিইউ-তে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। মাস খানেকেরও বেশি সময় ওই ব্যক্তি স্বাভাবিক উপায়ে তাঁর শরীরের বর্জ্য পদার্থকে বের করতে পারেননি। এর জন্য মেডিক্যাল ফেসিলিটির সাহায্য নিতে হয়েছিল। বহু মাস পরে ওই রোগী ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন।
শ্রেয়ার মতো চিকিৎসকদের মতে, শারীরিক মিলনের প্রবৃত্তি মেটাতে গিয়ে অনেকসময় মানুষ বহু হঠকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও কারোর সঙ্গে এটা ঘটতে পারে। তাই, যৌন ক্রীড়ায় যা অস্বাভাবিক প্রক্রিয়া তা থেকে দূরে থাকলে বহু ধরনের বিপদ থেকে নিজেকে দূরে রাখা যায় বলেও মন্তব্য করেছেন শ্রেয়া।