সংক্ষিপ্ত

জানেন কী গমের ঘাসের উপকারিতা অপরিসীম। যদি রোজ এক গ্লাস গমের ঘাসের সরবত খেতে পারেন তাহলে শরীর স্বাস্থ্য ভাল হবে। গ্রীষ্মের মৌসুমে গমের ঘাসের জুস পান করা খুবই উপকারী, কারণ হুইটগ্রাসের প্রভাব শীতল, যা অনেক সমস্যা দূর করে। গমের ঘাসের রসে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম।
 

জানেন কী গমের ঘাসের উপকারিতা অপরিসীম। যদি রোজ এক গ্লাস গমের ঘাসের সরবত খেতে পারেন তাহলে শরীর স্বাস্থ্য ভাল হবে। গ্রীষ্মের মৌসুমে গমের ঘাসের জুস পান করা খুবই উপকারী, কারণ হুইটগ্রাসের প্রভাব শীতল, যা অনেক সমস্যা দূর করে। গমের ঘাসের রসে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম।

গমের ঘাসের রসে রয়েছে ভিটামিন সি, বি, ই, কে। এছাড়াও রয়েছে ক্লোরোফিল, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফাইবার আয়োডিন, সেলেনিয়াম ও জিঙ্কের মত পুষ্টি সম্পন্ন উপাদান। যা শরীরের একাধিক সমস্যা দূর করতে পারে। এই জুস রক্তে বাড়াতে সাহায্য করতে। গমের ঘাসের রস প্রতিদিন খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। 

ওজন নিয়ন্ত্রণ
প্রথমেই বলি গমের রস ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। এতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। অন্যদিকে ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় মেদ ঘরাতে সাহায্য করে। 

হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণ
এই জুস হজম শক্তি বাড়ায়। এই ঘাসের রসে এনজাইম পাওয়া যায়। যা হজমের ক্ষেত্রে খুবই উপযোগী। এটি শরীরের অতিরিক্ত তেল জাতীয় খাবার সহজে হজম করিয়ে দিতে। 

বাতের ব্যাথা কমায়
জয়েন্টের ব্যাথা ও বাতের ব্যাথা কমাতে পারে। এর মধ্যে অনেক রকম পুষ্টি উপাদান থাকে। যা ব্যাথা কমিয়ে হাড় মজবুত করতে পারে। 

অ্যানিমিয়া প্রতিরোধ
উপকারী। কারণ গমের ঘাসের রসে এমন অনেক পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায় যা শরীরে রক্তের অভাব পূরণে সাহায্য করে।

কী করে বানাবেন এই সরবত- 
উপকরণ:
তাজা ধনেপাতার কয়েকটি পাতা
অর্ধেকটা বড় আভাকাডো
৩০ মিলি গম ঘাসের রস 
তাজা লেবুর রস ২ টেবিল চামচ
১ চা চামচ সূক্ষ্মভাবে কাটা রসুন
৬০ মিলি জলপাই তেল
১ টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার
পরিমান মত  চা চামচ সামুদ্রিক লবণ
পরিমান মত চা চামচ জিরা

প্রথমে গম ঘাসগুলি ছোট ছোট করে কেটেনিন। তারপর ধানের পাতাও ছোট করে কেটে নিন। মিক্সারে ভালোকরে মেশান। তারপর বাকি উপকরণগুলি মিশিয়ে দিন। তবে গমের ঘাস থেকে খুব বেশি রস পাবেন না। এই উপকরণগুলি নিয়ে মাত্র ৫০ গ্রামের মত সরবত পেতে পারেন। তবে এই ঘাস যা উপকারী তাও আপনার শরীর ভালো করে দেবে।