সংক্ষিপ্ত
আদা কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সর্দিকাশি কমাতে ও ব্যাথা কমাতে বিশেষ কাজ করে। এছাড়াও কোনও ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য আদা খুবই উপকারী একটি মশলা। তবে মনে রাখতে প্রোয়জনের তুলনায় বেশি আদা খেলে আবার সমস্যা দেখা দেয়।
স্বাস্থ্যের জন্য অতি উপকারী একটি মশলা হল আদা। এমনিতেই রান্নায় প্রায় নিত্যদিনই আদা ব্যবহার করা হয়। কিন্তু তাতে তেমন উপকার হয় না। তাই নিত্যদিন নিয়ম করে কাঁচা বা বেকড বা শুকনো আদা খেতেই পারেন। তাহলে বেশ কয়েকটি রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন। আদা কোলেস্টোরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি সর্দিকাশি কমাতে ও ব্যাথা কমাতে বিশেষ কাজ করে। এছাড়াও কোনও ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য আদা খুবই উপকারী একটি মশলা। তবে মনে রাখতে প্রোয়জনের তুলনায় বেশি আদা খেলে আবার সমস্যা দেখা দেয়।
বেশি আদা-
প্রতিদিন তিন থেকে চার গ্রাম আদা খেতেই পারেন। তার বেশি আদা খেলে অনেকগুলি সমস্যা হয়। বেশি আদা খেলে ত্বকে ফুসকুড়ি হতে পারে। চোখ লালা হয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে চুলকানির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আদা খেলে এমনটা যদি হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সুগারের রোগীদের জন্য-
সুগারের রোগীদের অতিরিক্ত আদা না খাওয়ার পরামর্শ দেওযা হয়েছে। কারণ তাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাথা ঘোরা ও ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন তাঁরা।
রক্তপাতের সমস্যা-
অতিরিক্ত আদা খেলে আবার রক্তপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। লবঙ্গ বা রসুনের সঙ্গে
ভুলেও আদা খাবেন না। তাহলেই রক্তচাপ বেড়ে যাবে।
পেটের সমস্যা-
আদা পেট খারাপ সারাতে পারে। পেট খারাপ বা বদ হজমে আদা খুবই উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত আদা খেলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত আদা হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে ও খাবার অন্ত্রের বাইরে পাঠিয়ে দেয়। ফলে ডায়েরিয়ার হতে পারে।
গর্ভাবতীদের জন্য-
গর্ভাবতী মহিলারা আদা না খেলেই ভালো। কারণ তাদের সন্তানদের জন্য আদা ক্ষতিকারক। গর্ভাপতেরও সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় আদা।
কিডনির রোগীদের জন্য-
কিডনির রোগীরা ভুলেও আদা খাবেন না। কিডনির জন্য যে ওষুধগুলি তারা খায় সেগুলির গুণ নষ্ট হয়ে যায়।
হার্টের রোগীদের জন্য-
অতিরিক্ত আদা খেলে হার্টের রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। হৃদকম্পন অনিয়মিত হয়ে পড়তে পারে।
গলার ব্যাথা-
আদা গলা ও হাত পায়ের ব্যাথা কমিয়ে দিতে পারে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আদা খেলে মিউকোলাস লাইনিংকে সমস্যা করে।
তাই বেশি আদা না খাওয়াই ভালো বলে মনে করা হয়। তবে আদা খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।