সংক্ষিপ্ত
- গরমকাল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্জির সমস্যা যেন খানিক বেড়ে যায়
- ঘরোয়া পদ্ধতিতেও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে
- ওজন কমাতেই নয়, অ্যালার্জির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে গ্রিন টি
- আদা অ্যালার্জির জন্য খুব ভাল কাজ করে
গরমকাল পড়ার সঙ্গে সঙ্গে অ্যালার্জির সমস্যা যেন খানিক বেড়ে যায়। একদিকে গরমে প্যাচপ্যাচে অবস্থা, তার উপর ঘাম থেকে অ্যালার্জি হয়। ছোট থেকে বড় সকলেই এই রোগটির শিকার। খুবই সাধারণ একটি সমস্যা এই অ্যালার্জি ।
হাজারো ওষুধ খেলেও এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় না। কিন্তু ঘরোয়া পদ্ধতিতেও অ্যালার্জি প্রতিরোধ করার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যা অ্যালার্জি সমাধানে সাহায্য করে। জেনে নিন বিশদে।
আদাঃ আদা অ্যালার্জির জন্য খুব ভাল কাজ করে। আদাতে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানো, হজমের সমস্যা, এমনকী ডায়ারিয়ার মতো সমস্যাতেও ভীষণ কার্যকরী। গরম জলের মধ্যে আদা ফুটিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন।
কলাঃ কলার পুষ্টি সম্পর্কে সকলেরই জানা। তবে একটা মজার বিষয় হল কোনও খাবার খেলে অ্যালার্জি হলে কলা খেলে তার নিরাময় হয়। শরীরে ছোট ছোট ব়্যাশ দেখা দিলে অথবা পেটের সমস্যা দেখা দিলে কলা ভীষণ উপকারী। কারণ কলা মেটাবলিজম বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
লেবুঃ লেবু হল অন্যতম সাইট্রিক জাতীয় ফল যা অ্যালার্জিতে দারুণ কাজ করে। মধুর সঙ্গে লেবুর রস মেশালে শরীরের জন্য দারুণ উপকারী। নিয়মিত এই পানীয় খেলে শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যাবে। এবং অ্যালার্জির সমস্যাও কমে আসবে।
শসা ও গাজরের রসঃ কোনও খাবার খেলে দুম করে শরীরে অ্যালার্জি দেখা দিলে শসা ও গাজরের রস একসঙ্গে মিশিয়ে খান। শসা ও গাজর এই দুই সব্জিতেই অ্যান্টি অ্যালার্জি উপাদান শরীরের অ্যালার্জির সমস্যাকে কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।
কমলালেবুঃ অনেক সময় পাকস্থলীতে খুব বেশি পরিমাণে প্রোটিনের আধিক্য হলে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে অ্যাসিড জাতীয় খাবার এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
গ্রিন টিঃ গ্রিন টি শুধুমাত্র ওজন কমাতেই নয়, অ্যালার্জির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে থাকে। গ্রিনটিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান প্রদাহ বিরোধী উপাদানের জন্য অ্যালার্জিক খাবার খাওয়ার ফলে যে সকল সমস্যা দেখা যায় তা বাধা দেয়।