সংক্ষিপ্ত
গবেষণায় (Research) দেখা গিয়েছে, ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সে বেশি হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) বা স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। হার্ট সুস্থ রাখতে ওমেগা -৩ যুক্ত খাবার খান। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে ওমেগা -৩ যুক্ত খাবার।
গত কয় বছরে ক্রমে বাড়ছে হার্টের রোগ (Heart Disease)। হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিওর, উচ্চ রক্তচাপ থেকে করোনারি হৃদরোগ- একের পর এক রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রোগীরা। গবেষণায় (Research) দেখা গিয়েছে, ৩৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সে বেশি হার্ট অ্যাটাক (Heart Attack) বা স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। হার্টের রোগ যাতে আপনার শরীরে বাসা না বাঁধে, তাই অনেক আগে থেকেই সতর্ক হন।
গবেষণায় জানা গিয়েছে, ওমেগা ৩ (Omega 3) যুক্ত খাবার খেলে হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়ে। মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের ক্ষেত্রেও খেতে পারেন ওমেগা ৩। আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এমন রিপোর্ট। সংস্থার পক্ষ থেকে ৯৫০ জন রোগীর ওপর গবেষণা করা হয়। হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) রোগীদের ওপর গবেষণা করা হয়েছে। হার্টের রোগীদের রক্তে ওমেগা-৩ এর মাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেই গবেষণাতেই উঠে এসেছে এমন তথ্য।
গবেষকদের মতে, নিয়মিত তৈলাক্ত মাছ খেলে হার্ট সুস্থ রাখে। হৃদরোগে ঝুঁকি থাকা ব্যক্তিদের ওমেগা ৩ (Omega 3) যুক্ত খাবার খাওয়ান। নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন আখরোট, সামুদ্রিক মাছের মতো খাবার। জেনে নিন কী কী খাবেন-
আখরোট – প্রতিদিন এক মুঠো আখরোট (Walnuts) খান। এটি দৈনিক ওমেগা-৩ (Omega 3) এর চাহিদা পূরণ করবে। সকালে জলখাবারে আখরোট খান। সুস্থ থাকবে।
আরও পড়ুন: Health Tips- তল পেটে জমতে থাকা মেদ নিয়ে চিন্তা, এবার ঘরোয়া টিপসে মিলবে সুরাহা
স্যামন মাছ- খাদ্যতালিকায় রাখুন স্যামন মাছ (Salmon Fish)। এটি ইপিএ এবং ডিএইচএ সমৃদ্ধ। এতে ওমেগা ৩ থাকে। যা হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। তবে, এই মাছ দিয়ে ঝোল বানান। বেশি ভাজলে বা তেল দিয়ে রাঁধলে মাছের গুণ নষ্ট হয়ে যাবে।
সয়াবিন- খাদ্যতালিকায় রাখুন সয়াবিন (Soyabeans)। এটি ভিটামিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে পরিপূর্ণ। এতে রয়েছে ওমেগা ৭ ফ্যাটি অ্যাসিড ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
সরষে বীজ- ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, সরষে বীজ (Mustered seeds) ওমেগা ৩ পরিপূর্ণ। এটি হজম ক্ষমতা ২৫ শতাংশ বাড়ায়। ১ চা চামচ সরষে বীজে ১০০ মিলিগ্রাম ওমেগা ৩ থাকে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সরষে বীজ খেতে পারেন।
ফুলকপি- শীতের বাজারে দেখা মেলে একাধিক ফুলকপির (Cornflower)। সারা বছরই কপি পাওয়া যায়। এই সবজি অনেকই পছন্দের। ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ ফুলকপি ওমেগা ৩ পরিপূর্ণ। এতে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার, খনিজ ও চিনি থাকে। এই উপদানগুলো শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখুন ফুলকপি।