সংক্ষিপ্ত
ওজন কমানোর কথা উঠলেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের কথা উঠে আসে। পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ একটি খাবার হল ডিম। ডিমের কুসুম না খেলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। বর্তমানে নানা রোগের কারণে বেশিরভাগ মানুষ এই ডিমের কুসুম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, এলার্জি, নানা ত্বকের সমস্যার কারণে মানুষ এখন ডিমের কুসুম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
ডায়েট করে ওজন কমাতে সারাদিন শুধু স্যুপ আর স্যালাড খেয়ে আছেন? এতে ওজন কমলেও মন ভরছে না। ওজন কমাতে এবার আপনার সঙ্গী হতে পারে ডিম। ওজন কমানোর কথা উঠলেই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের কথা উঠে আসে। পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ একটি খাবার হল ডিম। তবে ওজন কমাতে ডিম, এটা শুনে অনেকেই হতবাক হচ্ছেন। প্রতিদিন ডিম খেলেই কমবে দেহের বাড়তি ওজন। তবে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে, যা মেনে চললেই ওজন কমার পাশাপাশি শরীর ও সুস্থ থাকবে।
ছেলে হোক বা মেয়ে প্রত্যেকেরই প্রোটিন ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। তবে তার মধ্যে যতটা পারবেন প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার চেষ্টা করুন। সেই রকম একটি প্রোটিনের উৎস হল ডিম। কিন্তু অনেকেই আছেন ডিম খান কিন্তু ডিমের কুসুমটা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু ডিমের কুসুম না খেলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। বর্তমানে নানা রোগের কারণে বেশিরভাগ মানুষ এই ডিমের কুসুম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। উচ্চ রক্তচাপ, এলার্জি, নানা ত্বকের সমস্যার কারণে মানুষ এখন ডিমের কুসুম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। ডিম খাওয়া মানেই ডিমের কুসুম বাদ, এই প্রচলিত ধারণা দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে। অনেকেই ডায়েট থেকে ডিমের ওষুধ বাদ রাখেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল। ডিমের কুসুমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিমের প্রতিটি অংশই খুব উপকারী। ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ডি, বি ২, বি-১২ থাকে , যা হাড়ের জন্য উপকারী। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন তারা প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডিম রাখুন।
সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, ডিমের কুসুমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিমের প্রতিটি অংশই খুব উপকারী। প্রধানত ছেলেদের জন্য ডিম এবং ডিমের কুসুম দুটোই উপকারী। ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ডি থাকে , যা হাড়ের জন্য উপকারী। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন তারা প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডিম রাখুন। ডিমের কুসুম চুলের জন্য উপকারী। ডিমের কুসুমে থাকা তামা পুরুষদের মাথায় টাক পড়া থেকে রক্ষা করে। ত্বকের জন্য ডিমের কুসুম খুব উপকারী। ডিমের কুসুম ত্বক মসৃণ করে এর পাশাপাশি ত্বককে উজ্জ্বল করে। রুক্ষ ত্বকের যত্নে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে অবশ্যই খান এই ডিম। ডিম রান্নার সময় খেয়াল রাখতে হবে অতিরিক্ত ওভারকুক যেন না হয়ে যায়। বেশি ফোটালে ডিমের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এবং ডিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-এ নষ্ট হয়ে যায়। তাই অল্প আঁচে ডিম রান্না করাই বেশি ভাল। ওজন কমানোর জন্য যারা ডিম খাচ্ছেন তাদের অবশ্যই ক্যালোরির দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিদিন ডিম খেলেও তা সেদ্ধ কিংবা ডিমের পোচ করে খান। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।