সংক্ষিপ্ত

২৪ মার্চ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস (World Tuberculosis Day)। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য গ্রহণ করা হয় এই দিন। এই রোগটি সবার আগে ফুসফুসে (Lungs) প্রভাব ফেলে । সংক্রামিত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দেখা যায়। এই রোগ হাঁচি বা কাশির মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

গত দুবছরও আগের করোনার পরিস্থিতি অনেকেই মনে করিয়ে দিয়েছিল যক্ষ্মা রোগের কথা। একটা সময় ছিল, যখন যক্ষ্মা রোগীর ধারে কাছে ঘেঁষত না কেউ। ধীরে ধীরে এই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়। এখন আর মানুষ যক্ষ্মা রোগকে তেমন ভাবে ভয় পান না। কারণ, এই রোগ (Disease) থেকে মুক্তির পথ আজ সকলের জানা। 

আজ অর্থাৎ ২৪ মার্চ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস (World Tuberculosis Day)। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট প্রতিপাদ্য গ্রহণ করা হয় এই দিন। এই রোগটি সবার আগে ফুসফুসে (Lungs) প্রভাব ফেলে । সংক্রামিত ব্যক্তি হাঁচি বা কাশি দেখা যায়। এই রোগ হাঁচি বা কাশির মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে। সে কারণে, এই রোগ আক্রান্ত হলে রোগীকে সকলের থেকে আলাদা রাখা হয়। 

১৮৮২ সালে ডাঃ রবার্ট কোচ ২৪ মার্চ দিনটিকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস (World Tuberculosis Day) হিসেবে স্থির করেন। হু-এর মতে, প্রতিদিন প্রায় ৪০০০ রোগী টিবি-তে প্রাণ হারাণ। টিবি মোকাবিলায় বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা ২০০০ সাল থেকে অনুমানিক ৬৩ মিনিয়ন জীবন বাঁচিয়েছে। হু অনুসারে, ১০.৪ মিলি.ন ব্যক্তি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল এবং ১.৭ মিলিয়ন লোক ২০১৬ সালের মধ্যে এই রোগে প্রাণ হারিয়েছে। 

যক্ষ্মা (Tuberculosis) রোগ সম্পর্ককে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই ২৪ মার্চ দিনটি নির্দিষ্ট করা হয়। এই দিন বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সচেতনতা ক্যাম্প করা করা হয়। প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট বিষয় গ্রহণ করা হয়। এবছরের থিম হল যক্ষ্মা বন্ধ করতে বিনিয়োগ করুন। জীবন বাঁচাতে। 

জেনে নিন যক্ষ্মা (Tuberculosis) কীভাবে ছড়ায়। জানা গিয়েছে, শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়া শরীরে প্রবেশ করে। কোনও রোগীর কাশী, হাঁচি, থুতু থেকে জীবাণু (Virus) বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী, বড় মুখ খুলে কথা বলার ফলে শরীরে প্রবেশ করতে পারে যক্ষ্মা ব্যকটেরিয়া। এই জীবাণু  ধুলোতেও উপস্থিত থাকে। তাই যক্ষ্মা আক্রান্ত হলে সতর্ক হওযা দরকার। তা না হলে, একজন ব্যক্তির থেকে একাধিক ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারে। 

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়াবেটিসের (Diabetes) রোগীদেরও মধ্যে যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী, ক্যানসারও যক্ষ্মা রোগের অন্যতম কারণ। যক্ষ্মা রোগীর থেকে যেমন এই রোগ সংক্রমিত হয়, তেমনই ধূমপান (Smoking) ও মাদকাসক্তিও এই রোগের অন্যতম কারণ। 

আরও পড়ুন- একধাক্কায় চড়চড়িয়ে বেড়ে গেল সোনা-রূপোর দর, বিয়ের মরশুমের আগেই পকেটে কোপ মধ্যবিত্তের

আরও পড়ুন- ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে খুব কষ্ট পান, তাহলে অবশ্যই দেখে নিন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞের ভিডিওটি

আরও পড়ুন- চার কলমেই কেল্লাফতে, শোয়ার ঘরে রাখলে ঘুরিয়ে দিতে পারে আপনার জীবনে উন্নতির গতিপথ