সংক্ষিপ্ত
- ভাইরাস হাত থেকে প্রাথমিক সুরক্ষা দেয় শরীরে থাকা টি-সেল
- আমাদের দেহে দু’ধরনের প্রতিরোধী কোষ রয়েছে
- এগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে
- এগুলি করোনা রুখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে
ভাইরাস আক্রমণ হাত থেকে প্রাথমিক সুরক্ষা দেয় শরীরে থাকা টি-সেল এবং অ্যান্টিবডি। আমাদের দেহে দু’ধরনের প্রতিরোধী কোষ রয়েছে। একটি- ‘বি-সেল’। অন্যটি, টি-সেল। এগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। ১৭ বছর আগে সারস ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর দেহে এমনই কিছু বিশেষ ধরনের টি সেল মিলেছে, যেগুলি এই করোনা লড়াইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে।তাই করোনার টিকা তৈরির ক্ষেত্রে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার বিষয়ে বিশেষ নজর দিচ্ছেন গবেষকরা। তাই করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠা কিছু মানুষকে নিয়ে সাইটফ (CyTOF)নামে এক বিশেষ পরীক্ষা করেন গবেষকরা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্ত থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের শরীরে টি-সেলের গঠন টিকা আবিষ্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সম্প্রতি সেল রিপোর্ট মেডিসিন পত্রিকায় এই সংক্রান্ত একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই মেডিক্যাল জার্নালে বলা হয়েছে, কীভাবে করোনা প্রতিরোধে মানবদেহে প্রতিরক্ষা প্রদানকারী টি-সেল সফল হচ্ছে। টি-সেলের মধ্যে কোভিড১৯ ঠেকাতে কী কী চারিত্রিক পরিবর্তন হচ্ছে তা গবেষণা করা হচ্ছে।
দেহের অভ্যন্তরে কোষগুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে কীভাবে নতুন প্রোটিন তৈরি করছে, এই বিষয়গুলিও এই গবেষণায় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য এর আগেও সারস-কোভ-২ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম হয়েছে এই টি-সেল। এর ফলে সার্স-এর মত মারাত্মক ভাইরাস থেকে রক্ষা পেয়েছিল বেশ কিছু মানুষ। সেই পদ্ধতিই কাজে লাগানো হচ্ছে করোনাকে জব্দ করার জন্য।