সংক্ষিপ্ত

  • বেশি পরিমাণে ডিম খেলেই শরীরের নানা রোগ বাঁধতে পারে
  • যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে বেশি পরিমাণে ডিম খেলেই সমস্যা বাড়তে পারে
  • ২ টোর বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল
  • উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত ডিম খেলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়তে পারে

ছেলে হোক বা মেয়ে প্রত্যেকেরই প্রোটিন ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। তবে তার মধ্যে প্রাণীজ প্রোটিন ভীষণ উপকারি । সেই রকম একটি প্রোটিনের উৎস হল ডিম। কিন্তু অনেকেই আছেন ডিম খান কিন্তু ডিমের কুসুমটা বাদ দিয়ে দেন। কিন্তু ডিমের কুসুম না খেলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। বর্তমানে নানা রোগের কারণে বেশিরভাগ মানুষ এই ডিমের কুসুম খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।  তার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা, এলার্জি, নানা ত্বকের সমস্যা যাদের রয়েছে তাদের ডিমের কুসুম  না খাওয়াই শরীরের জন্য ভাল।

 

 

অনেকেই আছেন যারা দিনের মধ্যে অতিরিক্ত ডিম খান। কিন্তু এটা জানেন কি বেশি পরিমাণে ডিম খেলেই শরীরের নানা রোগ বাঁধতে পারে। যেমন পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম মুরগির ডিমে ২৫৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে এবং ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিমে ৩৫৫ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল থাকে। সুতরাং ২ থেকে ৩ টি হাঁস বা মুরগির ডিম খেলে ডিমের মধ্যে থাকা কোলেস্টেরল স্বাভাবিক রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে খুব একটা প্রভাবিত করে না।

 

সমীক্ষা থেকে আরও জানা গেছে, যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, কিংবা যাদের কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা রয়েছে, বা যাদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাদের ডিমের কুসুম খেলে আরও  সমস্যা বাড়তে পারে। সারাদিনে ২ টো ডিম কিংবা ডিমের কুসুম খেলে সমস্যা খুব একটা হবে না। কিন্তু ২ টোর বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল। কারণ উচ্চ কোলেস্টেরল যুক্ত ডিম খেলে কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা বাড়তে পারে। ডিমের কুসুমের অনেক উপকারিতা রয়েছে। ডিমের প্রতিটি অংশই খুব উপকারী। প্রধানত ছেলেদের জন্য ডিম এবং ডিমের কুসুম দুটোই উপকারী। ডিমের কুসুমে ভিটামিন-ডি থাকে , যা হাড়ের জন্য উপকারী। যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করে থাকেন তারা প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই ডিম রাখুন।