সংক্ষিপ্ত
ঘি-এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা নানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে। ঘি এমন একটি উপাদান,যা হাজারো রোগের মহৌষধ। প্রাচীন আয়ুর্বেদে ঘি-এর নানারকম উপকার অনেকেরই জানা রয়েছে। ঘি খেলে শরীরের যেমন উপকার হয়, তেমনই ঘি-এর নানা গুণ রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঘি-এর ব্যবহার অপরিসীম। খালি পেটে না ভরা পেটে, কোন সময় ঘি খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি, জেনে নিন।
ঘি-এর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা নানা রোগ দূর করতে সাহায্য করে। ঘি (Ghee) এমন একটি উপাদান,যা হাজারো রোগের মহৌষধ। প্রাচীন আয়ুর্বেদে ঘি-এর নানারকম উপকার অনেকেরই জানা রয়েছে। ঘি খেলে শরীরের যেমন উপকার হয়, তেমনই ঘি-এর নানা গুণ রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় ঘি-এর ব্যবহার অপরিসীম। খালি পেটে না ভরা পেটে, কোন সময় ঘি খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি, তা ঘি খাওয়ার আগে জেনে নিন।
ঘি (Ghee) খেলে শুধু শরীরের নয়, এর পাশাপাশি আরও অনেক উপকার পাবেন। যেমন সকালবেলা খালি পেটে গরম জলের সঙ্গে ঘি খেলে নানান উপকার পাবেন। খালি পেটে ঘি (Ghee) ও জল একসঙ্গে খেলে নানা রোগ থেকে মুক্তি পাবেন। ঘি-এর মধ্যে যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, তা শরীরকে নানা রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে। তবে সকাল খালি পেটে ঘি খাওয়ারও বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন ঘি খাওয়ার ৩০ মিনিট পর্যন্ত আর কিছু খাবেন না। যারা দীর্ঘদিন ধরে ওজন কমাতে চাইছেন, তাদের জন্য ঘি (Ghee) খুবই উপকারী। ঘি-এর মধ্যে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে। খালি পেটে ঘি খেলে শরীরের অনেক উপকার পাবেন। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমার পাশাপাশি ফ্যাটও কমবে।
বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে অনায়াসেই মুক্তি দেবে এই ঘি (Ghee) । নিজেকে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে প্রতিদিন পাতে রাখুন ঘি। খালি পেটে ঘি খেলে মস্তিষ্কের কাজ ভাল হয়। কারণ ফ্যাটের সবচেয়ে বড় অংশ ঘি যা স্মরণশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শরীরে অস্টিওপোরোসিসের মতোন রোগ কমাতে ঘি খুবই কার্যকরী। এতে জয়েন্টের নানান সমস্যা দূর হয়। ক্যালশিয়াম নিয়ন্ত্রণেও উপকারী ঘি। রক্ত সঞ্চালনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে ঘি। সকাল বেলা দিনের শুরুতে খালি পেটে ঘি খেলেই শরীর সুস্থ ও সতেজ থাকবে। ঘি-তে (Ghee) ফ্যাট এর পরিমাণ অনেকটাই বেশি, যারা ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করেছেন তারা নিয়মিত খান ঘি। ঘি এর মধ্যে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেশি হলেও হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। ঘি তে ক্যালোরির পরিমান অনেকটাই বেশি হওয়ায় শীতকালে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। শীতকালে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি পেতে ঘি (Ghee) এর সাথে গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিতে বলা হয়েছে। ঘি তে আছে প্রচুর পরিমানে বিউটারিক এসিড যা ইন্টেস্টাইনর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোলন এর কোষগুলি বিউটারিক এসিড থেকেই প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তারা প্রতিদিন এক গ্লাস গরম দুধের সাথে এক চামচ ঘি খেলে নিমেষে মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে। স্কিনের জন্য উপকারী ঘি। এতে উপস্থিত ফ্যাটি এসিড গুলি ত্বক কে নরম ও বলিরেখা মুক্ত করে। অ্যান্টি- অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ঘি ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে।