সংক্ষিপ্ত

ভিটামিন বি ১২ প্রতিটি মানুষের শরীরেই খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে| তাই জেনে রাখা দরকার, কোন কোন খাবারের মাধ্যমে এই ভিটামিন আপনার শরীরে প্রবেশ করবে| কোন বয়সের জন্য রোজ কতটা করে এই ভিটামিন প্রয়োজন

শরীরকে ভাল রাখতে প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের ভিটামিন বা মিনারেলের প্রয়োজন হয়| সারাদিনের পরিশ্রম, ধকল, ক্লান্তি থেকে নিজেদের স্বাস্থ্যকে ঠিক রাখতে এই জিনিসগুলোর জুড়ি মেলা ভার| ভিটামিন, মিনারেল একদিকে যেমন নিজেদের শরীরেই তৈরি হয় তেমনি আবার অন্যদিকে রোজকার খাবার থেকেও এই ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া সম্ভব| আর সমস্ত রকমের ভিটামিনের মধ্যে মানুষের শরীরে যেটির অবদান অনস্বীকীর্য সেটি হল ভিটামিন বি ১২ | উল্লেখ্য এই ভিটামিন মানুষের শরীরে কিন্তু তৈরি হয় না| বিভিন্ন রকমের খাবারের মাধ্যমে এই ভিটামিন মানুষের শরীরে প্রবেশ করে|

বলা বাহুল্য, ভিটামিন বি ১২ প্রতিটি মানুষের শরীরেই খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে| তাই জেনে রাখা দরকার, কোন কোন খাবারের মাধ্যমে এই ভিটামিন আপনার শরীরে প্রবেশ করবে| লাল রক্তকোষ এবং ডিএনএ তৈরির ক্ষেত্রে ভিটামিন বি ১২ -এর বিরাট ভূমিকা রয়েছে| প্রাণিজ খাবারে অপেক্ষাকৃত বেশি পরিমাণে মেলে ভিটামিন বি ১২। দুধ, দই ও দুগ্ধজাত পদার্থ, ডিম, মাশরুম, বিভিন্ন ধরনের মাংস ও মেটে, টুনা, স্যামন ও বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, ঢেকি ছাটা চাল ও বিভিন্ন ধরনের গোটা শস্য এবং ডালে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ থাকে। মনে রাখবেন আপনাপ শরীরে যদি এই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা তৈরি হবে| যেমন - কোনও জিনিস ভুলে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়, দুর্বলতা, বিষন্নতা, রক্তশূণ্যতা, স্বল্প কাজে হাঁফিয়ে যাওয়া, বুক ধরপর এমনকি কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের মত বিভিন্ন রকম জটিল সমস্যা তৈরি হতে পারে|

আপনার শরীরে যদি দীর্ঘদিন ভিটামংন বি ১২ এর ঘাটতি দেখা যায় তাহলে কিন্তু স্নায়বিক সমস্যা পর্যন্ত তৈরি হতে পারে| এর ফলে হাঁটা চলা করতে সমস্যা হয়| তাই শরীরে এই ধরনের কোনও উপসর্গ দেখলে দেরি না করে চিরিৎসকের পরামর্শ  নিন| সেই সঙ্গে আরও একটা জিনিস জেনে রাখা দরকার যে, কেন বয়সের মানুষের শরীরে কতটা ভিটামিন বি ১২ এর প্রয়োজন হয়| উল্লেখ্য, ভিটামিন বি ১২ জলে দ্রবণীয় উপাদান। তাই  মানুষের শরীরে এর চাহিদা পূরণ হয়ে গেলে অতিরিক্ত ভিটামিন মূত্রের মাধ্যমে দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়। বয়সের উপর ভিত্তি করে এই চাহিদার কম-বেশি হয়।

০ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত  দৈনিক ০.৪ মিলিগ্রাম। ৭ থেকে ১২ মাস পর্যন্ত০.৫ মিলিগ্রাম, ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত ০.৯ মিলিগ্রাম, ৪ থেকে ৮ বছর পর্যন্ত ১.২ মিলিগ্রাম, ৯ থেকে ১৩ বছর পর্যন্ত ১.৮ মিলিগ্রাম, ১৪ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত ২.৪ মিলিগ্রাম, অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য ২.৬ মিলিগ্রাম এবং স্তন্যদায়িনী মায়ের ক্ষেত্রে ভিটামিন বি ১২ এর পরিমান ২.৮ মিলিগ্রাম পর্যন্ত হওয়া উচিত|

শরীরে ভিটামিন বি ১২ পর্যাপ্ত পরিমাণে না থাকলে লাল রক্ত কোষ তৈরি হয় না। ফলে শরীরে অক্সিজেন চলাচল স্বাভাবিকভাবে হয় না। ফলে প্রায়ই নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। ঝাপসা দৃষ্টিশক্তিও বি ১২ ভিটামিনের অভাবের আরও একটি অন্যতম লক্ষণ। এই ভিটামিনের ঘাটতি প্রভাব ফেলে অপটিক নার্ভেও। সেই সঙ্গে ফ্যাকাসে ত্বকও ভিটামিন বি ১২ ঘাটতিরই লক্ষণ।  সেক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া বাঞ্ছনীয়|
আরও পড়ুন- কবে থমকে যাবে এই পৃথিবীর ঘূর্ণন, কি হতে পারে এর ফল, কি বলছে বিজ্ঞান

আরও পড়ুন- ১০০ বছর বাঁচতে চান, আজ থেকেই এই কাজগুলি শুরু করে দিন

আরও পড়ুন- জিও গ্রাহকদের জন্য দারুন খবর, মাসের দিন অনুযায়ী এবার থেকে মিলবে ভ্যালিডিটি