সংক্ষিপ্ত

সি-সেকশনের পরে পেটের চর্বি কমাতে ঘরোয়া প্রতিকার জেনে নিন। বাড়িতে বসে শরীরের কোনও ক্ষতি না করেই খুব সহজে এগুলোর মাধ্যমে কমতে পারে পেটের চর্বি

সাধারণত এটাই বিশ্বাস করা হয় যে প্রসবের সময় সি-সেকশন করা হলে গর্ভাবস্থার পরে পেটের চর্বি কমানো কঠিন হতে পারে। যদিও একটি সি-সেকশনে পেটের অংশে বড় অস্ত্রোপচার করা হয়, তবুও আপনি কিছুটা সুস্থ হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে অতিরিক্ত পেটের চর্বি কমাতে সক্ষম হতে পারেন। 

করোনা মহামারী চলাকালীন আপনি ডাক্তারের সাথে দেখা বা চিকিত্সার জন্য আপনার বাড়ির বাইরে যাওয়া নিরাপদ বোধ না করতেই পারেন। তাই সি-সেকশনের পরে পেটের চর্বি কমাতে ঘরোয়া প্রতিকার জেনে নিন। বাড়িতে বসে শরীরের কোনও ক্ষতি না করেই খুব সহজে এগুলোর মাধ্যমে কমতে পারে পেটের চর্বি, ।  

সি-সেকশন বা সিজারের পর ওজন ও পেটের মেদ কমানোর জন্য করণীয়

(১) সি-সেকশন বা সিজারের পর ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো। বাচ্চাকে ৬ মাস শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এর সাহায্যে আপনার পেটের অনেক অতিরিক্ত মেদ কমে যাবে।

(২) শিশুর জন্মের ছয় সপ্তাহ পর থেকে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। ছয় সপ্তাহের আগে পেটের ব্যায়ামগুলো কোনো অবস্থাতেই করা যাবে না। শিশুর জন্ম সিজারিয়ানের মাধ্যমেই হোক আর স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ই হোক, মায়ের পক্ষে যখনই স্বাভাবিক কাজকর্ম করা সম্ভব হবে, তখন থেকেই ব্যায়াম শুরু করতে হবে।

(৩) ডেলিভারির পরে প্রথম ছয় মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে ভারী ব্যায়াম করা যায় না। তবে সাধারণ ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। যেমন- হাঁটা। শিশুর জন্মের তিন মাস পর থেকে দিনে ৪৫ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি করা ভালো। চাইলে কিছু ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়ামও করতে পারেন।

(৪) ছয় মাস পর থেকে অন্যান্য ব্যায়াম শুরু করা ভালো। তবে হালকা ব্যায়াম দিয়েই শুরু করা উচিত। পেটের ব্যায়ামগুলো আট-নয় মাস পর শুরু করা ভালো। যোগা পেটের মেদ কমানোর ভালো উপায়। যেমন- প্রাণায়াম। এতে পেটের মাংসপেশি দৃঢ় হয়।

(৫) খাওয়া, ঘুমানো ও স্নান ছাড়া সবসময় পেটে বেল্ট পরে থাকুন। এটা বিরক্তিকর হলেও আপনি অবশ্যই ভালো ফল পাবেন।

(৬) শরীরের ফ্লুইড ব্যালেন্স রক্ষা করে জল। শুনে অবাক হবেন যে, জল দেহ থেকে অতিরিক্ত মেদ বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করুন, এতে খিদে কম পাবে ও পেট ভরা থাকবে।

(৭) ভাত, মিষ্টিসহ শর্করাজাতীয় অন্যান্য খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে যাঁরা গর্ভধারণের আগে থেকেই একটু মোটা হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

সি-সেকশন বা সিজারের পর নতুন মায়েদের স্বাস্থ্যকর খাওয়ার ব্যাপারে কিছু টিপস-
• খাবারের তালিকায় ফল ও সবজি রাখুন।

• স্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে আপনার খাবারের জন্য তীব্র আকাঙ্ক্ষা কমে যাবে। প্রেগন্যান্সির সময় যেভাবে যা ইচ্ছা হয়েছে তাই খেয়েছেন সেভাবে খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন।

• না খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টা করবেন না। এতে আপনার ও আপনার শিশুর ক্ষতি হতে পারে।

আপনি সিজারিয়ান অপারেশনের পরে কিছু দিন ভারী ব্যায়াম করতে পারবেন না বলে আপনি আপনার আগের চেহারা চট করে ফিরে পাবেন না এমন ভেবে হতাশ হবেন না। ধৈর্য ধরুন এবং নিয়ম মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাহলেই আপনি ফিরে পাবেন মেদবিহীন আকর্ষনীয় দেহ।

আরও পড়ুন- ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং বা গ্যাংটক, হোলিতে বিশেষ ট্যুর প্যাকেজ ঘোষণা পূর্ব রেলের

আরও পড়ুন- হার্ট রক্তচাপ ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে গরমে প্রতিদিন পান করুন ডাবের জল

আরও পড়ুন- জি বাংলা রান্নাঘরে ছড়ালো দোলের রং, গুড়ো মশলা আর আবিরের মাঝে উঁকি দিচ্ছে লোভনীয় পদ