সংক্ষিপ্ত
জ্বর মানেই করোনা কিংবা ডেঙ্গু নয়। তবে, নির্দিষ্ট কয়টি লক্ষণ দেখলে সতর্ক হন। ঋতু পরিবর্তনের কারণে নানা রকম রোগের প্রদুর্ভাব বাড়ছে। যেমন, ফ্লু, ডেঙ্গু, মরসুমি জ্বর ইত্যাদি।
করোনার কালবেলায় ভাইরাল ফিভার আগেই চিন্তায় ফেলেছিল চিকিৎসকদের মাথায়। আর এবার হদিশ মিলছে ডেঙ্গুর (dengue)। গত কদিন যাবত হদিশ মিলেছে একাধিক ডেঙ্গু রোগীর। একদিকে পুজোর পর বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। তারপর আবহাওয়ার পরিবর্তনের জন্য ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। আর এবার এরই মধ্যেই কামড় বসাচ্ছে ডেঙ্গু। তবে, জ্বর হলে কিংবা কী কী লক্ষণ দেখা দিলে সতর্ক হবেন, জানালেন ড. শুভেন্দু বাগ।
ঋতু পরিবর্তনের কারণে নানা রকম রোগের প্রদুর্ভাব বাড়ছে। যেমন, ফ্লু, ডেঙ্গু, মরসুমি জ্বর ইত্যাদি। এখনকার পরিস্থিতির বিচারে যাই জ্বর হোক না কেন, না জেনে বাড়িতে চিকিৎসা করা উচিত নয়। জ্বর যদি তিন দিনের মধ্যে না কমে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারি পরামর্শ নিন। আর জ্বর মানেই করোনা (Corona) কিংবা ডেঙ্গু (Dengue) এমন নয়। এই সময় বহু মানুষ ভাইরাল জ্বরেও আক্রান্ত হচ্ছে। তাই আগে থেকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে বুঝবেন কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে জ্বর হবেই। অন্তত ৩ থেকে ৪ দিন জ্বর থাকে। করোনা আক্রান্ত হলে সব সময় জ্বর নাও হতে পারে। তবে, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে হাড় ভাঙা যন্ত্রণা মানে গাঁটে গাঁটে অসহ্য যন্ত্রণা অনুভূত হয়। চোখের পিছনে যন্ত্রণা, বমি বমি ভাব দেখা যায়। অনেকের বমি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তেঁতো স্বাদ অনুভূত হলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এছাড়া, ডেঙ্গুর আক্রান্তদের ত্বকে লাল লাল ধরনের র্যা শ দেখা দেয়। এর সঙ্গে দেখা দিতে পারে দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তক্ষরণ। ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে মেয়েদের মাসিক চলাকালীন অধিক রক্তক্ষরণও হয়।
তবে, রোগ প্রতিরোধে সবার আগে প্রয়োজন সতর্ক হওয়া। কিন্তু, করোনা থেকে বাঁচতে রোগীদের মাস্ক পরা ও স্যানিটাইজার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে এমন কোনও সতর্কতা নেই। এই রোগ ছড়ায় মশা থেকে। তাই বাড়ির চারপাশের জমা জল পরিষ্কার করতে হবে। রাতে মশারির ব্যবহার এই সময় আবশ্যক। প্রতিনিয়ত সরকার থেকে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করে চলেছে। তাই সেই সতর্কতা মেনে চললেই রোগের প্রকোপ কম হওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ ক্লান্তিভাব দূর করুন, জানুন, শরীর সতেজ রাখতে খাদ্য তালিকায় কোন কোন খাবার রাখবেন
আরও পড়ুন- আম খাওয়ার পরই কি এই খাবারগুলি খাচ্ছেন, শ্বাসকষ্টের সমস্যা থেকে হতে পারে বড় বিপদ
আরও পড়ুন- ঠান্ডা না গরম দুধ, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় কোনটা উপকারি, কাজে লাগান ঘরোয়া টোটকা
গবেষণায় উঠে এসেছে, ডেঙ্গু ভাইরাস চার রকমের হয়। প্রতিটির লক্ষণ আলাদা। তাই কেউ অসুস্থ হলে, ফেলে না রেখে সবার আগে ডাক্তারি পরমার্শ নেওয়া দরকার। ডেঙ্গুর মতো ভয়াবহ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সঠিক খাদ্যাভ্যাস প্রয়োজন। এই সময় রোজ পর্যাপ্ত জল খান। স্বাস্থ্যকর খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়। যে যে খাবার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেগুলো নিয়মিত খান। তবে, ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে ডাক্তারি পরমার্শ নেওয়া খুবই দরকার। রোগীদের ডাক্তারি পরামর্শ মেনেই খাদ্য গ্রহণ করা দরকার। এই সময় সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যারা শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে আক্রান্ত তারা সতর্ক হন। এছাড়া শরীরে অন্য কোনও রোগ থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করুন।