সংক্ষিপ্ত
- সকালে খালি পেটে জল খাওয়ার পরামর্শ অনেকেই দেন
- অনেকে নিয়মিত খালি পেটে জল খেয়েও থাকেন
- কেউ খান ঈষদষ্ণু গরম জল, কেউ বা স্বাভাবিক তাপমাত্রার জল
- কিন্তু সত্য়িই কি কিছু লাভ হয় সকালে খালি পেটে জল খেলে
অনেকেই সকালে খালি পেটে জল খেতে বলেন। আবার অনেকে তা খানও। কেউ খালি পেটে ঠান্ডা জল খান। আবার কেউ-বা ঈষদ্ষ্ণু গরমজল খান। কিন্তু আমাদের অনেকের কাছেই পরিষ্কার নয় যে, খালিপেটে জল খেলে সত্য়িই কোনও লাভ হয় কিনা আর হলে কী লাভ হয়।
সকালে উঠে যদি ঈষদষ্ণু গরমজলে একটু লেবু মিশিয়ে খান, সঙ্গে একটু মধুও দিতে পারেন, তাহলে উপকার পাবেন অনেক। বাড়তি মেদ ঝরে যাবে। সেইসঙ্গে শরীরও চাঙ্গা থাকবে।
সকালে উঠে বাথরুমে যাওয়ার জন্য় অনেকেই চা খান। বলেন, চা না-খেলে নাকি পেট পরিষ্কার হয় না। সেক্ষেত্রে বলব, চা না-খেয়ে ঈষদষ্ণু গরম জল খেলেও ওই একটি কাজই হবে। কোষ্ঠ পরিষ্কার হবে।
মনে করা হয়, সাত থেকে আটঘণ্টা ঘুমের পর শরীরে জলের অভাব তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সকালে উঠে এক গ্লাস জল খেতে পারলে সেই ঘাটতি পূরণ হয়। চাইলে আপনি গরম জলও খেতে পারেন আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রার জলও খেতে পারেন।
এমনটাও মনে করা হয়, শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সকালে জলের প্রয়োজন হয়। কারণ, জলই কিডনির মাধ্য়মে শরীরের টক্সিন ছেঁকে বার করে দেয়। তাই সারাদিনে মোটের ওপর তিন থেকে চারলিটার জল খেতে বলা হয়। দিনের শুরুতেই এক গ্লাস বড় কাপের এক কাপ জল খেয়ে নিতে পারলে, সেই প্রয়োজন অনেকটাই পূরণ হয়।
তাই মোদ্দা কথা হল, সকালে উঠে জল খান নিয়মিত। তবে গেলাস গেলাস জল খেতে হবে না। এক গেলাস খেলেই হবে। অথবা, বড় কাপের এককাপ ঈষদষ্ণু গরম জলে লেবু মিশিয়ে খান। পেটও ভালো থাকবে। শরীরে জলের ঘাটতিও পূরণ হবে। সেইসঙ্গে লেবুর সৌজন্য়ে ওজন কমবে, শরীরে ভিটামিন-সি যাবে।