সংক্ষিপ্ত

  • হলুদ দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হতে পারে
  • প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে
  • হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
  • হলুদে উপস্থিত কারকুমিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ

প্রতিদিন সকালে ব্রেকফাস্টের পর হলুদ দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী হতে পারে। দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে অনেক উপকার মেলে একথা সকলেরই জানা। যদি আপনি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে চান তবে হলুদের দুধের বিকল্প কিছু হতে পারে না। আজকাল অনেক জনপ্রিয় ব্র্যান্ড বাজারে হলুদ দুধের পণ্যও বাজারে এনেছে। হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। হলুদে উপস্থিত কারকুমিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ।

কীভাবে হলুদের দুধ আমাদের দেহে সহায়তা করে-

১)  প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে- এটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, তাই এটি ফ্লু, সর্দি, কাশির সমস্যায় বা সর্বদা এটি গ্রহণ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

২) হলুদ দুধ তার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাবের জন্য বরাবরই সবচেয়ে জনপ্রিয়। এর সেবনে বাতের মত সমস্যা দূর হয়।

৩) দেহের বাইরের বা অভ্যন্তরীণ অংশে কোনও আঘাত থাকলে, হলুদ দুধ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিরাময়ে সহায়তা করে। কারণ এটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে ব্যাকটিরিয়াকে বাড়তে দেয় না।

৪) হলুদের দুধ আপনার মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে এবং ভাল ঘুম হতে সহায়তা করে। মনে করা হয় যে মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতার উপরও হলুদের প্রভাব রয়েছে। রাতে যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে হলুদের দুধ পান তাদের জন্য খুব উপকারী।

৫) হলুদের দুধ হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। অনিয়মিত পিরিয়ডস-এর সমস্যা থাকা মহিলাদের জন্য এটি উপকারী। 

৬) এছাড়াও এটি ব্রণ নিরাময় করতে পারে। গুঁড়ো হলুদ সরাসরি ত্বকে লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়। ভারতীয় বিবাহের অনুষ্ঠানে গায়ে হলুদ একটি রীতি রয়েছে।

৭)  হলুদের দুধ রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে এটি টাইপ 2 ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করাকে হ্রাস করতে সহায়তা করে। ক্যান্সারের ঝুঁকিও হ্রাস করে।

৮) হলুদ দুধ হজমে সহায়তা করে। এটি শরীরে অম্লতা হ্রাস করে। যদিও বেশি পরিমাণে হলুদ খেলে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুধের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশানো উতিৎ।

তবে যে কোনও সমস্যা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিৎ। আপনীর শারীরিক পরিস্থিতির বিষয়ে অবগত হয়ে তবেই এই ঘরোয়া প্রতিকার কাজে লাগান।