সংক্ষিপ্ত

সমকামী পুরুষদের যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদের পূর্বতন মাঙ্কি পক্স সম্বন্ধীয় বক্তব্যটি স্পষ্ট করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই বক্তব্য মানুষের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এলজিবিটিকিউ (LGBTQ) অর্থাৎ, সমকামী সম্প্রদায়ের মানুষ মানেই তাঁরা মাঙ্কিপক্সের বাহক নন।

সমকামী পুরুষদের যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিজেদের পূর্বতন মাঙ্কি পক্স সম্বন্ধীয় বক্তব্যটি স্পষ্ট করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর আগে ‘গে সেক্স’ অর্থাৎ, সমকামীদের যৌন মিলনে মাঙ্কি পক্সের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যে বিবৃতিটি দিয়েছিল হু (WHO), তা নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়েছে আলোড়ন। শুধুমাত্র এই একটি বিবৃতির কারণে পৃথিবীতে সমকামীরা বিভিন্ন জায়গায় হেনস্থার স্বীকার হয়েছেন। কিন্তু, বিবৃতির আসল অর্থটি এবার মানুষের কাছে পরিষ্কার করে বিশ্লেষণ করা হল সংস্থার পক্ষ থেকে। 

মাঙ্কি পক্সের সঙ্গে সমকামী যৌন মিলনের কোন সাবধানবাণী দিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা? জানা গিয়েছে, এখানকার জরুরি বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ডা. ডেভিড হেম্যান প্রথমবার ইউরোপে আয়োজিত দু'টি বড় রেভ পার্টির সম্পর্কে জানতে পারেন। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ডা. হেম্যান ব্যাখ্যা করেছেন যে, কী কী উপায়ে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস মানবদেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই বক্তব্যতে অসুরক্ষিত যৌন মিলনের উল্লেখও করেছেন তিনি। হোমোসেক্সুয়াল, কিংবা সমকামী পুরুষদের যৌন মিলনের ঝুঁকির বিষয়টিও বলা হয়েছে। হেম্যান উল্লেখ করেছেন, ইউরোপের ওই ২ রেভ পার্টিতে সমকামী পুরুষরা অসুরক্ষিত যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হন। এই ২টি পার্টি আয়োজিত হয়েছিল স্পেন আর বেলজিয়ামে। সেখান থেকেই মাঙ্কিপক্স ভাইরাস ছড়াতে শুরু করে বলে ধারণা করেছিলেন বিশেষজ্ঞ ডেভিড হেম্যান। 

এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রেইসাস মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা পুরুষদের উদ্দেশ্যে আবেদন জানিয়েছে বলেছিলেন, 'যৌন সঙ্গীর সংখ্যা মুহূর্তের জন্য হ্রাস করুন।' 

কিন্তু, এইবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করে জানাল যে, মাঙ্কিপক্সের ঝুঁকি কেবলমাত্র পুরুষদের সাথে যৌন মিলনেই সীমাবদ্ধ নয়। সংক্রামক ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে এমন যে কোনও ব্যক্তিই এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারেন। যদি এলজিবিটিকিউ অর্থাৎ, সমকামী সম্প্রদায়ের মধ্যে ইতিমধ্যেই এটি ছড়িয়ে গিয়ে থাকে তাহলে মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে ভালো করে জানাটা জরুরি। যতটা সম্ভব কম লোকের মধ্যে এটা সীমাবদ্ধ থাকা উচিত। তাহলেই এর প্রাদুর্ভাব আটকানো সম্ভব হবে।

হু-এর এই বক্তব্য মানুষের কাছে স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, এলজিবিটিকিউ (LGBTQ) অর্থাৎ, সমকামী সম্প্রদায়ের মানুষ মানেই তাঁরা মাঙ্কিপক্সের বাহক নন। পৃথিবীতে যত মানুষ, এমনকি বৃদ্ধ বা শিশুরাও, মাঙ্কি পক্স ভাইরাসের সংস্পর্শে এসেছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই এই ভাইরাসের বাহক হয়ে থাকতে পারেন। 

আরও পড়ুন-
মাঙ্কি পক্সের আতঙ্ক ক্রমশই বাড়ছে, এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর রোগটি প্রাণঘাতী কিনা তা নিয়েও উঠে প্রশ্ন
ত্বকে সামান্য ঘা দেখা দিলেও সতর্ক হন, দ্রুত বাড়ছে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমণ
'যৌন সঙ্গীর সংখ্যা দ্রুত কমান', মাঙ্কি পক্স ইস্যুতে পুরুষদের সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা