সংক্ষিপ্ত
- গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে অ্যান্টিবডিগুলি স্থানান্তর করতে সক্ষম মায়েরা
- জ্যামা পেডিয়াট্রিক্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা
- পেনসিলভেনিয়ার হাসপাতালে করা হয় এই গবেষণা
- ১৪৭০ জনেরও বেশি গর্ভবতী মহিলার উপর হয় এই রিসার্চ
জামা পেডিয়াট্রিক্স জার্নালে ( JAMA Pediatrics Journal) প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে যে, গর্ভাবস্থায় যে সব মায়েদের কোভিড১৯ (COVID-19) সংক্রামিত হয়েছিল, তাঁরা প্লেসেন্টার মাধ্যমে তাঁদের গর্ভস্থ সন্তানের শরীরে অ্যান্টিবডিগুলি স্থানান্তর করতে সক্ষম। এই গবেষণাটি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে আগস্টের মধ্যে পেনসিলভেনিয়া (Pennsylvania) হাসপাতালে ১৪৭০ জনেরও বেশি গর্ভবতী মহিলার রক্তের নমুনা নিয়ে করা হয়েছিল। যার মধ্যে সদ্য গর্ভবতী হওয়া ৮৩ জনের শরীরে কোভিড১৯ (COVID-19)-এর অ্যান্টিবডি খুঁজে পেয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই গবেষণার ফলে দেখা গিয়েছিল যে, তাঁদের প্রায় ৮৭ শতাংশ নবজাতকের অ্যাম্বিক্যাল কর্ডে কোভিড১৯ (COVID-19)-এর অ্যান্টিবডির নমুনাও পাওয়া গিয়েছিল।
আরও পড়ুন- শীতে শুধু উষ্ণতা পেতে নয় বরং ওজন কমাতেও কার্যকর কফি, জেনে নিন এই পানীয়ের টোটকা
নবজাতকের অ্যান্টিবডিগুলির পরিমাণ এবং এর প্রকৃতি, মায়ের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিবডিগুলির ধরণ এবং পরিমাণের উপর নির্ভর করে। এই গবেষণায় থাকা গবেষকদের মতে, "আমাদের অনুসন্ধানগুলি প্রসূতি থেকে প্রাপ্ত অ্যান্টিবডিগুলির জন্য সার্স-কোভি -২ (SARS-CoV-2)সংক্রমণ থেকে নবজাতককে সুরক্ষা প্রদান এবং গর্ভাবস্থায় নবজাতকের পরিচালনার দিকনির্দেশ এবং ভ্যাকসিন ট্রায়ালগুলির নকশা উভয় বিষয়েই জানাতে সহায়তা করেছে।"
আরও পড়ুন- মুখের দুর্গন্ধে নাজেহাল, সাধারণ ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পান এই সমস্যা থেকে
ইমিউনোগ্লোবুলিন জি (immunoglobulin G) এর ভূমিকা-
ইমিউনোগ্লোবুলিন জি (immunoglobulin G) বা আইজিজি (IgG) কর্ড থেকে পাওয়া রক্তে এক ধরণের অ্যান্টিবডি থাকে যা শরীরকে বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, প্রসবকালীন ১৪৭১ জন মহিলার মধ্যে (৬ শতাংশ) ৮৩ জনের মধ্যে ইমিউনোগ্লোবুলিন জি (immunoglobulin G) সনাক্ত করা হয়েছিল এবং নবজাতকের (৮৭ শতাংশ) ৭২-৮৩ এর মধ্যে একই আইজিজি কর্ডের রক্ত মিলেছে। এটি মা এবং নবজাতকের মধ্যে উপস্থিত আইজিজির একই স্তরের প্রতিফলন ঘটায়। গবেষকদের মতে, "সারস-কোভি -২ (SARS-CoV-2) অ্যান্টিবডিগুলি নবজাতকের সংক্রমণের বিরুদ্ধে সুরক্ষিত কিনা তা নির্ধারণের জন্য আরও গবেষণার প্রয়োজন।