সংক্ষিপ্ত

  • করোনা আতঙ্কে লকডাউন সারা দেশ 
  • ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
  • গর্ভবতী মহিলাদের নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন
  • রাজ্যে নয় মাসের শিশুর শরীরেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে
     

করোনা আতঙ্কে লকডাউন সারা দেশ কাঁপছে রাজ্য। ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা থেকে বাঁচতে তাই সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। ওয়াল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও অবধি সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৭,৮৭,২৩১ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৭, ৮৪৩ জনের। সারা দেশে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৪৭ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৩২ জনের। রাজ্যে আক্রান্তের ইতিমধ্যে এই মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২২। এমন এক পরিস্থিতিতে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে গর্ভবতী মহিলারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখবেন। বা নবজাতকদের কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন জেনে নিন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।

আরও পড়ুন- লকডাউনে বাড়িতে থেকে শ্লেষ্মাজনিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখুন অব্যর্থ এই ঘরোয়া পথ্যে

করোনা আতঙ্কের মধ্যে তাই গর্ভবতী মহিলাদের একটু বেশি নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে নজর দেওয়া প্রয়োজন। সম্প্রতি রাজ্যে নয় মাসের শিশুর শরীরেও করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। তাই নিজেকে ও সদ্যজাত-কে এই সময় বিশেষ যত্নে রাখা প্রয়োজন। এই বিষয়ে পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কিন চিকিত্সক ও বিশেষজ্ঞ  ডাঃ ক্যারোলিন কোয়েন জানিয়েছেন, কোনও গর্ভবতী মহিলা যদি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন তবে গর্ভস্থ শিশুরও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞ ক্যারোলিনের মতে, করোনা গর্ভবতী মহিলার জরায়ুর প্লাসেন্টা অতিক্রম করে যায়, ফলে গর্ভস্থ শিশুরও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে এই বিষয়ে ডাঃ খ্রিশ্চান চেম্বার্স জানিয়েছেন, গর্ভবতী মহিলার শরীরে যদি করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকে, তবে সন্তান প্রসবের সময় সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুও হতে পারে। 

আরও পড়ুন- এই সময়ে ভ্যাকসিনের থেকেও জরুরি শিশুকে বিপদ থেকে দূরে রাখা, জেনে নিন শিশু-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ

এই বিষে কয়েকটি গবেষণায় বেশ কিছু নবজাতকের শরীরে উচ্চ মাত্রায় ‘ইমিউনোগ্লোবিন জি’ নামের একটি অ্যান্টিবডির উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। মায়ের শরীর থেকে ভ্রূণের মধ্যে সঞ্চারিত হয় এই ‘ইমিউনোগ্লোবিন জি’ নামের অ্যান্টিবডি। অন্য আরেকটি গবেষণায় জন্মের দু'ঘণ্টা পরেই নবজাতকের শরীরে আইজিএম-এর স্তরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে যার মাত্রা ওই নবজাতকের শরীরে মাত্র দুদিনের মধ্যেই বৃদ্ধি পায় যা যে কোনও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে। তাই গবেষকদের মতে, এই বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে প্রয়োজনীয় হাউজিন মেনে চলা উচিত। কোনও কাজ করার আগেই বিশেষ করে খাওয়া বা ওষুধ খাওয়ার আগে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে তবেই খাওয়া