সংক্ষিপ্ত
ডাক্তারেরা সব সময় পর্যাপ্ত জল খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। বাচ্চার থেকে বয়স্ক, সকলকে দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। আজ রইল কয়টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। শরীরের এই কয়টি পরিবর্তন দেখলে বুঝবেন আপনার শরীরে জলের ঘাটতি হয়েছে।
গরমে সব থেকে সাধারণ সমস্যা হল ডিহাইড্রেশন। খাওয়া-দাওয়ার সামান্য এদিক ওদিক হলে কিংবা জল কম খেলে এমন সমস্যায় ভোগেন সকলেই। সে কারণে ডাক্তারেরা সব সময় পর্যাপ্ত জল খাওয়ার নির্দেশ দিয়ে থাকেন। বাচ্চার থেকে বয়স্ক, সকলকে দিনে অন্তত ৮ গ্লাস জল খাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু, তা সত্ত্বেও শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। আজ রইল কয়টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। শরীরের এই কয়টি পরিবর্তন দেখলে বুঝবেন আপনার শরীরে জলের ঘাটতি হয়েছে।
প্রস্রাবের হলুদ রং দেখলে উপেক্ষা করবেন না। শরীরে জলের ঘাটতি হলে এমন লক্ষণ সবার আগে চোখে পড়ে। যদি দেখেন প্রস্রাবের সময় জ্বালা অনুভব হচ্ছে তাহলে বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলে হয় এমন সমস্যা।
মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে জলের ঘাটতি। এই কথা আমরা অনেকেই জানি না। কিন্তু, জল কম খাওয়ার জন্য এমন হতে পারে। তাই বারে বারে মাথা ব্যথা হলে জল খান বেশি করে। ব্যথার উপসম হবে।
হৃদগতি বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে শরীরে জলের অভাব। অল্প কাজ করে যদি মনে হয় হৃদগতি বেড়ে গিয়েছ, তাহলে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ১ গ্লাস করে জল খান। শরীরে জলের অভাব ঘটলে এমন হতে পারে। এই সমস্যা বড় আকার নেওয়ার আগে সমাধান করুন।
এছাড়াও শরীরে জল কমে গেলে বারে বারে জল তেষ্টা পাবে। এমন হলে বারে বারে জল খান। প্রতি ২০ মিনিট অন্তর ১ গ্লাস করে জল পান করুন। এতে উপকার পাবেন। তাই গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। আমাদের শরীরের ৭০ শতাংশ জুড়ে রয়েছে জল। শরীরে জলের ঘাটতি হলে সকল অঙ্গে প্রত্যঙ্গের ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তেমনই শরীরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এর সঙ্গে দেখা দেয় একাধিক রোগ। অনেকেই কাজের চাপে জল খেতে ভুলে যান। অথবা জল তেষ্টা না পাওয়া পর্যন্ত জল পান করেন না। এমন করবেন না। এতে শরীরের অসুস্থতার সঙ্গে ত্বক ও চুলে খারাপ প্রভাব পড়বে। নিজের সৌন্দর্য বজায় রাখতে চাইলে নিয়মিত পর্যাপ্ত জল খান। আর এই কয়টি লক্ষণ উপেক্ষা করবেন না। এতে দেখা দিতে পারে জটিল সমস্য়া।
আরও পড়ুন- মুখে থাকবে না কোনও দাগ, মেনে চলুন সহজ কয়েকটা স্টেপ