সংক্ষিপ্ত

অনেক মানুষের জীবন ঘুম নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। দিনভর কঠোর পরিশ্রমের পরেও যখন শরীর ক্লান্ত আর অবসন্ন তখনও দুচোখের পাতা এক হয় না। তাদের জন্য শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। 
 

অনেক মানুষের জীবন ঘুম নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। দিনভর কঠোর পরিশ্রমের পরেও যখন শরীর ক্লান্ত আর অবসন্ন তখনও দুচোখের পাতা এক হয় না। তাদের জন্য শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়। 


চিকিৎসকরা বলেন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি নূন্যতম ৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে। আর শিশুদের ১০-১১ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়োজনী ঘুম যদি না হয় তাহলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। প্রয়োজনীয় ঘুম না হওয়ার কিন্তু জটিল রোগের ইঙ্গিত দেয়। তাই ঘুম কী করে আসবে? এই প্রশ্ন সকলের। 

তারই সহজ আর সরল উত্তর দিলেন এক পুষ্টিবীদ। তিনি দুটি টিপস দিয়েছে।  আমাদের জীবনযাত্রায় যদি এই পরিবর্তন দুটি আনতে পারে তাবলেই মুশকিন আসান হয়ে যাবে। বিছানায় শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বুজে আসবে দুই চোখের পাতা। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত জনপ্রিয় পুষ্টিবীদ নমামি আগরওয়াল। দুটি টিপস দিয়েছেন। সেগুলি হল- 

নিয়মিত আমাদের ব্যায়াম করতে হবে। তার মতে ঘুমের সামগ্রিক গুণমান উন্নত করতে ব্যায়াম অত্যান্ত জরুরি। তিনি বলছেন দিনভর প্রচুর পরিশ্রম করলেও নিয়মিত ব্যায়াম ঘুমের জন্য জরুরি। 

দ্বিতীয় টিপসটি হল  গভীর নিদ্রার প্রাথমিক শর্তই হল আগে হালকা বা ছোট্ট একটি ঘুম। কারণ অনেকক্ষণ জেগে থাকলে বা কঠোর পরিশ্রম করলে ঘুম আসতে সমস্যা হয়। তাই মাঝে মাঝে যদি হালকা করে ঘুমিয়ে নেওয়া যায় তাহলে শরীরও ঝরঝরে থাকে আর ঘুমও ভালো হয়। 

বিশেষজ্ঞদের কথায় ঘুম কমে গেলে দিনের বেলাও চাপমুক্ত হয়ে কাটান যায় না। বেশ কয়েকটি পরীক্ষায় দেখা  গেছে ঘুমের ফলে আমাদের আবেগুলি পরিচালনা করার জন্য কম কার্যকর উপায় বেছে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। কোনও একটি সমস্যা সমাধানে আপনার যদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে তাহলে তার আগে আপনাকে অবশ্যই বিশ্রাম নিতে হবে। তবে তা শুধু শারীরিক বিশ্রাম হলেই হবে না। মানসিক বিশ্রামও জরুরি।  

ঘুমেরও কতগুলি সেরা উপায় রয়েছে
১. ঘুমানোর আর জেগে ওঠার সময় স্থির রাখুন। অর্থাৎ একই সময় ঘুমানো চেষ্টা করুন। তেমনই একই সময় ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা  জরুরি। ঘুমের সময় পরিবর্তন করলে সমস্যা তৈরি হয়। 
২. সকালে অনেকটা সময় প্রকৃতির সঙ্গে কাটান। যা আপনার মনকে রিফ্রেস করবে। মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে দেবে। 
৩. অ্যালকোহল, নিকোটিন, ক্যাফেইন- এজাতীয় পদার্থ সেবন করা এড়িয়ে চলুন। 
৪. ঘুমানের আগে নিজেকে শান্ত করুন। তার জন্য প্রয়োজনে মেডিটেশন করতে পারেন। শোয়ার ঘরকে আরামদায়ক করে তুলেন।