সংক্ষিপ্ত

ঋতুপরিবর্তনের (Season Change) জন্য অধিকাংশ মানুষই জ্বর (Fever), সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় ভুগছেন। ফলে, কেউ করোনা আক্রান্ত নাকি ওমিক্রন আক্রান্ত নাকি ঋতুপরিবর্তনের জন্য জ্বরে ভুগছেন তা বোঝা বেশ কঠিন। এই সময় আপনি ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত কি না তা বুঝতে ত্বকের পরিবর্তন দেখুন। কয়টি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে ওমিক্রনের মতো ভাইরাস।  

প্রতি মুহূর্তে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রনের (Omicron) প্রসার। এদিকে গতকালের রেকর্ড অনুসারে দেশে আক্রান্ত ২ লক্ষের বেশি মানুষ। ভারতে ওমিক্রন কেস ৪,৮৬৮ জন। এদিকে মঙ্গলবারের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুসারে রাজ্যে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২২ হাজার ১৫৫ জন। পরিসংখ্যান বলছে, শেষ ১১ দিনের মধ্যে প্রায় ১৮ হাজারের দৈনিক সংক্রমণ ঘটেছে। এদিকে ঋতুপরিবর্তনের (Season Change) জন্য অধিকাংশ মানুষই জ্বর (Fever), সর্দি, কাশির মতো সমস্যায় ভুগছেন। ফলে, কেউ করোনা আক্রান্ত নাকি ওমিক্রন আক্রান্ত নাকি ঋতুপরিবর্তনের জন্য জ্বরে ভুগছেন তা বোঝা বেশ কঠিন। এই সময় আপনি ওমিক্রনে (Omicron) আক্রান্ত কি না তা বুঝতে ত্বকের পরিবর্তন দেখুন। কয়টি লক্ষণ দেখলে বুঝবেন আপনার শরীরে বাসা বেঁধেছে ওমিক্রনের মতো ভাইরাস।  

গবেষণা বলছে, ওমিক্রন আক্রান্ত হতে ত্বকে আমবাতের মতো Rash দেখা যায়। পিঠে কিংবা ত্বকের কোনও অংশে লাল লাল চাকা চাকা  Rash দেখলে সতর্ক হন। জ্বরের সময় কিংবা জ্বর সেরে গেলে এমন Rash দেখা দিতে পারে। দেখা গিয়েছে, ওমিক্রন শরীরে বাসা বাঁধলে আমবাতের মতো Rash হচ্ছে রোগীদের। 

জ্বরের পর যদি ত্বকে চুলকানি অনুভব করেন, তাহলে ফেলে রাখবেন না। ওমিক্রনের (Omicron) একটি লক্ষণ হল চুলকানি। হাতে, পায়ে, মুখে এমনকি শরীরের কোনও অংশ চুলকানি হলে সতর্ক হন। এর সঙ্গে বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা হলে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন। যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা করাবেন, তত তাড়াতাড়ি মুক্তি মিলবে। 

আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনার টিকা থেকে দেখা দিচ্ছে বন্ধ্যাত্ব, জেনে নিন কী বলছে গবেষকরা

আরও পড়ুন: Omicron: করোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ওমিক্রন, জেনে নিন কাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি

করোনা ও ওমিক্রন উভয় রোগের ক্ষেত্রেই ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা যাচ্ছে। ঘাড়ের পিছনে ফুসকুড়ি, পায়ের আঙুলে ফুসকুড়ি হতে পারে করোনা কিংবা ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের। শরীরে করোনা ভাইরাস বাসা বেঁধেছে কি না তা নির্ধারণ যে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে তা হল আরটি-পিসিআর (RTPCR)। নাক থেকে কিংবা গলা থেকে লালা সংগ্রহ করার পর সেই নমুনাটির আরটি পিসিআর করা হয়। আর কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত কি না তা জানার জন্য করতে হবে এস-জিন-ড্রপ পরীক্ষা। এই পরীক্ষা সব জায়গায় হয় না। ফলে কঠিন বোঝা কোনও রোগী ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা। তাই ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ দেখা দিতে তৎক্ষণাত ডাক্তারি পরামর্শ নিন।