সংক্ষিপ্ত

  • গোটা বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কোবিড১৯
  • এর প্রকোপে এখনও পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৭৭ জনের
  • এই সংক্রমণ থেকে কতটা সুরক্ষিত গর্ভবতী মহিলারা
  • গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নয়া নির্দেশিকা মঙ্গলবার জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর
গোটা বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কোবিড১৯। এই ভাইরাসের প্রকোপে এখনও পর্যন্ত দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৭৭ জনের। করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। করোনা আতঙ্কের জেরে কার্যত স্তব্ধ বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের জন জীবন। ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এমন অবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে কতটা সুরক্ষিত গর্ভবতী মহিলারা! করোন ভাইরাস সংক্রামিত গর্ভবতী মহিলাদের গর্ভধারণের ক্ষেত্রে যাতে পুরোপুরি চিকিৎসা ব্যবস্থায় সুরক্ষিত থাকে এমনই এক নয়া নির্দেশিকা মঙ্গলবার জারি করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।

আরও পড়ুন- এই অ্যাপ জানান দেবে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, জেনে নিন কীভাবে ব্যবহার করবেন এটি


সমস্ত মেডিকেল স্কুল হাসপাতালে এই ধরনের গর্ভবতী মহিলাদের জন্য আলাদা ওটি রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত মায়েদের থেকে জন্মানো শিশুদের বাধ্যতামূলক সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত বাচ্চাকে খাওয়ানোর সময় ট্রিপল-লেয়ার মাস্কের ব্যবহার এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু মা নয় পাশাপাশি সহায়ক নার্স এবং আশা কর্মীদের সমস্ত গর্ভবতী মহিলাদের এবং বিশেষত উচ্চ-বিপদজনক গর্ভাবস্থায় একটি ট্যাব সংরক্ষণ করে রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যাতে সমস্যাগুলি দ্রুত সনাক্তকরণ এবং ফলো-আপ করা যায়।

আরও পড়ুন- দূর থেকেই শোনা যাবে রোগীর হৃদস্পন্দন, করোনা থেকে চিকিৎসকদের বাঁচাতে তৈরি হল স্মার্ট স্টেথোস্কোপ


কোবিড১৯ এর বিশ্বব্যাপী গবেষণা চলছে, তবে এখনও পর্যন্ত এমন প্রমাণ প্রমাণিত হয়নি যে সাধারণ মানুষের তুলনায় গর্ভবতী মহিলাদের করোনার সংক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। তবে গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে যার ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। গর্ভবতী মহিলাদের যদি জ্বর, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট হয় তবে অবিলম্বে চিকিত্সার পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

গর্ভবতী মহিলারা কীভাবে করোনার সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন-

১) গর্ভবতী মহিলাদেরও সাধারণ মানুষের তুলনায় একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
২) অ্যালকোহল ভিত্তিক স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন।
৩) ঘরের সদস্যদের থেকেও খানিক দূরত্ব বজায় রাখুন। 
৪) বার বার চোখ, নাক এবং মুখ স্পর্শ করবেন না।
৫) কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় মুখটি কনুই দিয়ে ঢেকে রাখুন।
৬) প্রয়োজনে টিস্যুপেপার ব্যবহার করুন ও ব্যবহার করার পরে তা ঢাকা দেওয়া জায়গায় ফেলুন।
৭) যদি কাশি, জ্বর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় তবে অবিলম্বে চিকিত্সার পরামর্শ নিন।
৮) জামা-কাপড় থেকে ব্যবহৃত বাসন খুব ভালো করে পরিষ্কার করে তবেই ব্যবহার করুন।