সংক্ষিপ্ত

একটা সময় এই দেশ টিবি, যক্ষ্মা,পোলিও, হাম- এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। কিন্তু বর্তমান ভারত লড়াই করছে ডায়াবেটিসের সঙ্গে।

মানুষের আয়ু আগের তুলনায় বেড়েছে। কিন্তু তারসঙ্গে সুস্থতা কমে গেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে আবারও এবার ফিরে দেখা বিশ্বজুড়ে কেমন রয়েছেন মানুষ্য প্রজাতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত পাঁচ দশকে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে প্রায় ২২ বছর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই অসুস্থ। মাঝ বয়স থেকেই সুগার , প্রেসার, থাইরয়েডের মত রোগগুলি দানা বাঁধতে শুরু করেছে শরীরে। 

ভারতের সুস্থতার চালচিত্র- 
একটা সময় এই দেশ টিবি, যক্ষ্মা,পোলিও, হাম- এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। কিন্তু বর্তমান ভারত লড়াই করছে ডায়াবেটিসের সঙ্গে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন ডায়াবেটিসের রাজধানী হয়ে উঠেছে এই দেশ। ২০২৫ সালের মধ্যে ৭০ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিশে আক্রান্ত হবেন বলেও আশঙ্কা। গত ৩০ বছরে এই দেশে হৃদরোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। গত তিন দশক ধরে হার্ট, সিওপিডি, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক - এই রোগগুলির প্রাদুর্ভাব ক্রমশই বেড়়েছে। ৩৫ বছরের তরুণ তরুণীরাও এই রোগগুলিতে আক্রান্ত হচ্ছে। যা মৃত্যুর সবথেকে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দুই বছরে করোনা মহামারির তুলনা বেশি মানুষের প্রাণ গেছে এই জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়েছে। 

রোগের কারণ- বিশেষজ্ঞদের কথায় জীবনযাত্রার পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসই মূলত কারণ। এই দুটি কারণে মানুষ দুর্বল  হচ্ছে। কমে যাচ্ছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। অপর গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল দুষণ। বিশেষজ্ঞদের কথায় ১৯৯০ সাল থেকে অসংক্রামক রোগের সংখ্যা ২৯ শতাংশ বেড়েছে। এনসিডি-র হিসেব অনুযায়ী আগে অকাল মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। এর এর জন্য বায়ু দূষণ, উচ্চরক্তচাপ, খাদ্যাভ্যাসই দায়ি। 

২০১৯ সালের একটি গবষণায় দেখা গেছে বায়ু দূষণের কারণে ১৬.৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ১৪.৭। তামাকজাত দ্রব্যের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১২.৩ লক্ষ মানুষের। আর খারাপ খাবার খেয়ে মারা গেছে ১০.১২ লক্ষ মানুষ। 

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এখন মানুষ ৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচেন। তবে ১০ হাজার জনের মধ্যে মাত্র ৯ জনেরই চিকিৎসকের কোনও প্রয়োজন হয় না। মেডিক্যাল সায়েন্সের উন্নতির কারণে মানুষের বেশি দিন বাঁচা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে ভারতে আগের তুলনায় চিকিৎক ও নার্সদের পরিষেবা অনেকটাই ভালো হয়েছে। তবে দিনে দিনে ভারতীয়দের স্বাস্থ্যের পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে।