সংক্ষিপ্ত
- পুজোর মুখে জলপথ পরিবহনে নতুন জট
- দীর্ঘদিন বেতন না পেয়ে বিক্ষোভ কর্মীদের
- পুজোর মুখে বোনাস না দেওয়ার অভিযোগ
- তিনশোর বেশি কর্মী কার্যত অথৈ জলে
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া-পুজোর মুখে নতুন করে জট তৈরি হল হুগলি নদী জলপথ পরিবহণে। তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার ফেরি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীরা। অভিযোগ, বেতন নেই, পুজোর মুখে বোনাসও পাচ্ছেন না তাঁরা। বেতন ও বোনাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার হাওড়া ফেরিঘাটে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থিত এআইটিটিইসি।
আরও পড়ুন-পুরুলিয়ায় 'করোনা-শুর বধ', নজর রাখুন প্রশিক্ষণের ঝলকে
করোনা আবহের মধ্যে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহনের জট। হাওড়া ফেরি ঘাটে হুগলি নগী জলপথ পরিবহন সমবায় অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান কর্মীরা। বিক্ষোভে সামিল হল তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, গত দমুাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এদিকে সামনেই পুজো। এই অবস্থায় বেতন ও বোনাস না পেয়ে দিশেহারা অবস্থা কর্মীদের। বকেয়া টাকার দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জলপথ পরিবহণ কর্মীরা।
আরও পড়ুন-পুজোয় মুখ্যমন্ত্রীর নজর পুরুলিয়ায়, দেখে নিন ভার্চুয়ালে পুজো উদ্বোধনের কিছু মুহূর্ত
হুগলি জলপথ পরিবহনের কর্মী মনোজিৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ''দীর্ঘদিন ধরেই আমরা বেতন পাচ্ছি না। মেলেনি পুজোর বোনাসও। তার ফলে তিনশোর বেশি কর্মী চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার। আমাদের কর্মীদের পরিবারের আর্থিক চিন্তায় আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। বেতন সমস্যা কেন মেটানো হচ্ছে না, তার সদুত্তরের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে গেলেও আমরা পাইনি। জলপথ পরিবহণকে বাঁচাতে দুকোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তারপরেও কেন আমরা বেতন পাচ্ছি না। সমস্যার সমাধান না হলে আমরা কর্মবিরতির পথে হাঁটব''।
আরও পড়ুন-চাপে বিশ্বভারতীর প্রাক্তণীরা, সব কাজেই প্রাক্তণীদের যোগদান বাধ্যতামূলক করল কর্তৃপক্ষ
প্রসঙ্গত, করোনার থাবায় বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। লোকাল ট্রেন না চলায় লঞ্চে সেভাবে যাত্রীদের ভিড় হচ্ছে না। লকডাউনের পর লঞ্চ পরিষেবা চালু হলেও ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে প্রতিদিন। উল্লেখ্য, হাওড়া ও কলকাতা দুই শহরের যোগাযোগের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল জলপথ পরিবহন। বেতন সমস্যা নিয়ে কর্মীরা কর্মবিরতির পথে হাঁটলে পুজোর মুখে সমস্যায় পড়বেন যাত্রীরা।