সংক্ষিপ্ত

 

  • পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হাওড়ার বাবুল সাঁতরা
  • তাঁর বাড়িতে গেলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধানখড়
  • কথা বললেন পরিবারের সঙ্গে 
  • স্ত্রীকে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক দিলেন রাজ্যপাল

ভালোবাসার দিনেই রক্ত ঝরিয়েছিল কাশ্মীরে। হাওড়ার বাউরিয়ায় পুলওয়ামার শহিদ বাবলু সাঁতরার পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সস্ত্রীক রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। নিহত জওয়ানের স্ত্রীর হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাগনানে 'হলুদ বৃষ্টি'-র রহস্যভেদ, গবেষকের দাবিতে শোরগোল

২০১৯ সালের ১৪ ফ্রেরুয়ারি। ২৫০০ জন জওয়ানকে নিয়ে জম্মু থেকে কাশ্মীরের দিকে যাচ্ছিল সিআরপিএফ-এর কনভয়।  তখন কনভয়টি পুলওয়ামায়। উল্টোদিক থেকে সেনা বহরের দিকে ছুটে আসে একটি গাড়ি। কনভয়ে ঢুকে গাড়িটি ধাক্কা মারে একটি বাসে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। বিস্ফোরণের পর আবার সিআরপিএফ-এর কনভয় লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা আক্রমণে তাদের সকলেই খতম করেন জওয়ানরা। কিন্তু বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৪০ জন জওয়ান। শহিদ হন হাওড়ার বাউরিয়ায় বাবুল সাঁতরা ও নদিয়ার তেহট্টের সুদীপ বিশ্বাসও।\

 

গত ২১ ডিসেম্বর সিআরপিএফ-র এক অনুষ্ঠানে দুই শহিদের পরিবারকেই নিজস্ব তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কথা রাখলেন তিনি। মঙ্গলবার চেঙ্গাইল হাইস্কুলের মাঠে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার পথে রাজ্যপাল যান বাউরিয়ার চককাশী এলাকায়, শহিদ বাবলু সাঁতরার বাড়িতে। ছেলের ছবিতে মালা দিয়ে যখন শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন জগদীপ ধনখড়, তখন কান্না ভেঙে পড়েন নিহত জওয়ানের মা বনমালী সাঁতরা। ঘণ্টা কয়েক সেখানে থাকার পর চেঙ্গাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান রাজ্যপাল।  পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় শহিদ হন নদিয়ার তেহট্টের সুদীপ বিশ্বাসও। কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁর পরিবারকেও রাজ্য়পাল আর্থিক সাহায্য করবেন বলে জানা গিয়েছে।