সংক্ষিপ্ত
- প্রসূতির রিপোর্টে মারাত্বক ভুল
- ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিলেন পরিবারের লোকেরা
- লিখিত অভিযোগ দায়ের থানা ও স্বাস্থ্য দপ্তরে
- হাওড়ার ডোমজুড়ের ঘটনা
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া: ভুল রিপোর্টে বিভ্রান্তি চরমে। শার্টার নামিয়ে ডায়গনস্টিক সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দিলেন প্রসূতির পরিবারের লোকেরা। থানা ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাস্থল, হাওড়ার ডোমজুড়।
আরও পড়ুন: বাড়ির অমতে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে, স্ত্রীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্না যুবকের
জানা গিয়েছে, ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মুকি মণ্ডল। তাঁর স্ত্রী নাফিসা সন্তান সম্ভবা। বুধবার এলাকারই একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে স্ত্রীর আলট্রোসোনোগ্রাফি করান মুকি। কিন্তু রিপোর্ট পাওয়ার পরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই দম্পতি। কেন? রিপোর্টে জানা যায়, ওভারিতে একটি টিউমারের কারণে নাফিসার গর্ভস্থ ভ্রুনটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে! এরপর দ্বিতীয় বার যখন কলকাতার একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার ফের ওই গৃহবধূর পরীক্ষা করানো হয়, তখনই আসল ঘটনাটি জানা যায়।
আরও পড়ুন: এলাকায় নিকাশি নালা তৈরিতেও দুর্নীতি, বরাদ্দ টাকা 'আত্মসাৎ' পঞ্চায়েত প্রধানের
কলকাতার ডায়গস্টিক সেন্টার থেকে যে রিপোর্ট দেওয়া হয়, তাতে বলা হয়, সম্পূর্ণ সুস্থ মুকিব মণ্ডলের স্ত্রী। এমনকী, তাঁর গর্ভস্থ সন্তানও ভালো আছে। এরপর আগের টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে ডোমজুড়ের ডায়গনস্টিক সেন্টারে যান মুকিব। তখন ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারের তরফে জানানো হয়, রিপোর্ট বদল হয়ে গিয়েছে। অন্য় এক মহিলার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে তাঁকে। ব্যস আর যায় কোথায়! খবর ছড়িয়ে পড়তেই ঘটনাস্থলে জড়ো হন বহু মানুষ। শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। শেষপর্যন্ত শার্টার নামিয়ে ওই ডায়গনস্টিক সেন্টারে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। শুধু তাই নয়, জোমজুড় থানায়, এমনকী, হাওড়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মুকিব মণ্ডল।