সংক্ষিপ্ত
- স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের 'মানসিক নির্যাতন'
- শিশুকন্যাকে খুন করে আত্মঘাতী বাবা
- বাড়ি থেকে উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ
- চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার মালি পাঁচগড়া এলাকায়
বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া: শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মানসিক অত্য়াচারের জেরেই কি চরম সিদ্ধান্ত? আট বছরের মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা করলেন এক ব্যক্তি। মৃতের শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার মালি পাঁচঘড়া এলাকায়।
আরও পড়ুন: রাজস্থানে পুরোহিত হত্যার প্রতিবাদ, বসিরহাটে তৃণমূলে যোগদান করলেন শতাধিক পুরোহিত
মৃতের নাম অভিজিৎ রায়। বাড়ি, মালি পাঁচঘড়া থানা এলাকায় শোভনলাল চৌধুরী লেনে। পেশায় তিনি ছিলেন সোনা ব্য়বসায়ী। পরিবারের আর্থিক অবস্থায় যথেষ্ট ভালো। কিন্তু বিবাহিত জীবনে সুখী ছিলেন না অভিজিৎ। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা, এমনকী স্ত্রীও নানাভাবে তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন করতেন। দিন কয়েক আগে মেয়েকে নিয়ে আচমকাই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে বাপের বাড়িতে চলে যান অভিজিতের স্ত্রী। এরপর থেকে বাবা ও মেয়ের মধ্যে কার্যত কোনও যোগাযোগই ছিল না। একমাত্র সন্তানকে ফিরিয়ে আনতে গেলে, শ্বশুরবাড়ি লোকেরা অভিজিৎ-কে রীতিমতো হেনস্তা করেন। ফলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। শেষপর্যন্ত অবশ্য মেয়ে-কে নিয়ে এসেছিলেন বাড়িতে।
আরও পড়ুন: করোনা আবহে কী অবস্থায় পুরুলিয়াবাসী, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক
তারপর? পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়েকে নিজের কাছে আনার পর থেকে অভিজিৎ-কে লাগাতার হুমকি দিচ্ছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সোমবার সকালে বাড়িতে থেকে বাবা ও মেয়ের দেহ উদ্ধার করে করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আট বছরের শিশুটিকে গলা টিপে খুন করার পর আত্মহত্যা করেছেন ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী। নিয়মাফিক দেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে মৃতের শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এলাকায় শোকের ছায়া।