করোনা ঠেকাতে শুরু থার্মাল স্ক্রিনিং, 'গান' হাতে তুলে নিলেন খোদ বিধায়কই

করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়ছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আতঙ্কও। সংক্রমণ ঠেকাতে এবার 'গান' তুলে নিলেন খোদ এলাকার বিধায়কই। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে দিনভর তিনি চষে বেড়াচ্ছেন নিজের বিধানসভা এলাকায়। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের ঘটনা। 

সম্প্রতি দেশের ১৭০টি জেলাকে করোনা হটস্পট বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই তালিকায় রয়েছে হাওড়া-সহ এ এ রাজ্যের চারটি জেলাও। হাওড়ার পরিস্থিতি যে 'খুবই স্পর্শকাতর', সেকথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু ঘটনা হল, এখনও পর্যন্ত যাঁরা সংক্রমিত হয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগ শহরাঞ্চলের বাসিন্দারা। কিন্তু গ্রামীণ হাওড়ায় সংক্রমণ ছড়াতে কতক্ষণ! পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদয়নারায়ণপুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু করলেন স্থানীয় বিধায়ক সমীর পাঁজা ও তাঁর স্ত্রী সুলেখা। বিধায়কের স্ত্রীর আবার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও বটে।  

প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বেড়িয়ে পড়ছেন উদয়নারায়ণুরের বিধায়ক সমীর পাঁজা। চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন গ্রামে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে থার্মাল গানের সাহায্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের তাপমাত্রা দিচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। চলছে দুঃস্থ মানুষদের খাদ্যসামগ্রী বিলিও।  বিধায়ক বলেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী এখন খুবই ব্যস্ত। তার উপর লকডাইনের বাজারে প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে আসার তেমন যানবাহনও নেই। তাই স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নিজেই এলাকায় থার্মাল স্ক্রিনিং ও খাদ্যসামগ্রী বিলির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে জনপ্রতিনিধির তৎপরতায় খুশি উদয়নারায়ণপুর এলাকার বাসিন্দারাও। সত্যি কথা বলতে, গ্রামগঞ্জের অনেকেই এখন হাসপাতালে যেতে পাচ্ছেন। একটু জ্বর হলেই নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলছেন। ভয় একটাই, যদি কোয়ারেন্টাইনে পাঠিয়ে দেয়। ফলে বাড়িতে বসেই শরীরের হালহকিৎ সম্পর্কে জানতে পেরে আশ্বস্ত হচ্ছেন সকলেই।