সংক্ষিপ্ত

  • শিবপুর মাফিয়া খুনের কিনারা
  • পুলিশের জালে কুখ্যাত দুই দুষ্কৃতী
  • গুলি করে খুনের বন্দুক উঁচিয়ে চম্পট
  • সিসিটিভিতে ধরা পড়ে চাঞ্চল্যকর ছবি

বিশ্বনাথ দাস, হাওড়া-চলতি মাসের ১৬ নভেম্বর। দুই সমাজবিরোধী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল এলাকায়। ফিল্মি কায়দায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। ঘটনায় জখম হয়েছিল আরও এক দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, গুলি করে খুনের পর রাস্তায় বন্দুক উঁচিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার চাঞ্চল্যকর ছবি ধরা পড়েছিল সিসিটিভি ফুটেজে।

আরও পড়ুন-'গুন্ডামোর দেখেছো কী-আমি মানুষের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়ছি', অভিষেককে তোপ দিলীপের

সেই ঘটনার দুই সপ্তাহের মাথায় বিহার থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে বিহার থেকে পুলিশের জালে উঠে আসে কুখ্যাত দুই সমাজবিরোধী। পুলিশ সূত্রে খবর, গত ১৬ নভেম্বর হাওড়ার শিবপুরের রামকৃষ্ণ লেনে প্রকাশ্যে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক থেকে রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল মহম্মদ আবদুল্লা নামে এক যুবককে। নিহতের বিরুদ্ধে শিবপুর থানায় একাধিক অভিযোগ ছিল। শুধু তাই নয়, সমাজবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত ছিল নিহত ব্যক্তি।

আরও পড়ুন-মা-বাবার দেহ আগলে রাখল মেয়ে, ১ সপ্তাহ পরে উদ্ধার করল বরানগর পুলিশ

পুলিশ সূত্রে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে, দুই কুখ্যাত সমাজবিরোধী সাদ্দাম ও আবদুল্লার মধ্যে এলাকা দখলের লড়াই চলছিল। সাদ্দামের দলের জিজুয়া নামে এক দুষ্কৃতীকে খুন করে আবদুল্লা। এর বদলা নিতে এবং এলাকা দখলে রাখতে সাদ্দামের দলবল আবদুল্লাকে খুনের ছক করে। গত ১৬ নভেম্বর বাইকে করে যাওয়ার সময় সাদ্দাম ও তার চার সঙ্গী আবদুল্লাকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আবদুল্লার। জখম হয় তার সঙ্গী জাহির। এরপর, বন্দুক উঁচিয়ে পালিয়ে যায় তারা। সিসিটিভিতে ধরা পড়ে সেই ঘটনার চাঞ্চল্যকর দৃশ্য। দুষ্কৃতী জাহিরের কাছ থেকে আরও কিছু তথ্য পায় পুলিশ। সেই সূত্র ধরে ঘটনার তদন্তে নেমে বিহার থেকে সাদ্দাম সহ দুজনকে গ্রেফতার করে শিবপুর থানার পুলিশ। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে লুকিয়ে ছিল সাদ্দাম। শিবপুর থানা ও হাওড়া পুলিশের ডিডি টিমের সহযোগিতায় গ্রেফতার হয় কুখ্যাত সমাজবিরোধী।