সংক্ষিপ্ত
আসাম রাজ্যের উত্তর-পূর্ব অংশে একটা বড়সড় তদন্তে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়। এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে, আলকায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট (AQIS) এবং বাংলাদেশে অবস্থিত আনসারুল্লা বাংলা টিম।
বিভিন্ন জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে আসামের বেশ কিছু আঞ্চলিক মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর শুক্রবার ২৯ জুলাই আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা ঘোষণা করলেন যে, জঙ্গি সন্দেহে আসাম রাজ্য থেকে মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। তাদের সমস্ত বক্তব্য রেকর্ড করা হচ্ছে।
“প্রায় ১০ জনকে সন্ত্রাসবাদী যোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। বেঙ্গালুরু পুলিশ এদের ব্যাংকের নথিপত্র সম্পর্কে তদন্ত করে জানিয়েছে যে কীভাবে এরা বাংলাদেশ থেকে আর্থিক সাহায্য পেত,” সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
আসাম রাজ্যের উত্তর-পূর্ব অংশে একটা বড়সড় তদন্তে বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকার সন্দেহে মোট ১১ জনকে আটক করা হয়। এই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির মধ্যে রয়েছে, আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট (AQIS) এবং বাংলাদেশে অবস্থিত আনসারুল্লা বাংলা টিম (ABT)। ধৃত ১১ জনের মধ্যে একজন আবার আসাম রাজ্যের একটি মাদ্রাসার শিক্ষকও।
পুলিশ সূত্রে খবর, আসামের মরিগাঁও, বারপেটা, গুয়াহাটি এবং গোয়ালপাড়া জেলা থেকে ধৃত এই ১১ জন “ইসলামিক মৌলবাদের সাথে যুক্ত” ব্যক্তি আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট এবং আনসারুল্লা বাংলা টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজের রাজ্যে ‘জিহাদি মডিউল’ বিনাশ করতে উঠেপড়ে লেগে থাকা মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার বিশ্বাস, ধরা পড়া এই ১১ জন সন্ত্রাসবাদীদের জেরা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করা যাবে।
“গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে মরিগাঁও এবং বারপেটা জেলা থেকে মোট ২টো ‘জিহাদি মডিউল’ উদ্ধার করা গেছে এবং এর সঙ্গে যুক্ত থাকা সমস্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জাতীয় পুলিশ সংগঠনের সাথে মিলিতভাবে এটা আমাদের এক সমন্বিত উদ্যোগ এবং পাকড়াও করা সব ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু তথ্য উদ্ধার করা যাবে।” জানিয়েছেন হেমন্ত বিশ্ব শর্মা।
আসাম পুলিশের দাবি, এই তদন্তে আসামের মরিগাঁও জেলার সাহারিয়া গাঁও থেকে ধরা পড়া মুস্তাফা, যার সম্পূর্ণ নাম মুফতি মুস্তাফা, আসলে আল-কায়দা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্টের সাথে সংযুক্ত থাকা আনসারুল্লা বাংলা টিমের একজন সক্রিয় সদস্য। সে ভারতের কাজ করা আনসারুল্লা বাংলা টিমের আর্থিক সাহায্য করার এক গুরুত্বপূর্ণ মাস্টারমাইন্ড।
আরও পড়ুন-
বিজেপির আইটি সেলের প্রাক্তন প্রধান বর্তমানে লস্কর জঙ্গি, ধরা পড়ল পুলিশের হাতে
আফগানিস্তানের গুরুদ্বার কার্তে পারওয়ানে জঙ্গি হামলা, একাধিক বিস্ফোরণের খবরও পাওয়া যাচ্ছে
উপত্যকায় হিন্দু-হত্যায় বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার হিজবুল জঙ্গী, অতি সক্রিয় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ