সংক্ষিপ্ত

  • দেশে বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা
  • তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
  • সংক্রমণের শিকার একের পর এক চিকিৎসক ও নার্স
  • স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণে সবচেয়ে এগিয়ে মহারাষ্ট্র

রাজধানী দিল্লির পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের শিকার ২,৩৭৬ জন। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১২৮ জন। এর মধ্যে উদ্বেগের বিষয় হল, আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ১৪ জন চিকিৎসক ও নার্স। দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরী সরকারি হাসপাতালে তাঁরা সকল্যেই কর্মরত ছিলেন। 

দেশে এভাবে একের পর এক স্বাস্থ্যকর্মী করোনা সংক্রমণের শিকার হওয়ায় ক্রমেই চিন্তার ভাজ গাঢ় হচ্ছে প্রশাসনের। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন মোট ৯৬ জন চিকিৎসক। পরীক্ষায় কোভিড ১৯ পজিটিভ এসেছে ১৫৬ জন নার্সের। 

আশঙ্কাই সত্যি হল , করোনার ধাক্কায় বর্ধিত ডিএ দেড় বছরের জন্য স্থগিত করল কেন্দ্র

করোনা থেকে রেহাই মিলল না পোষ্যেরও, মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত গৃহপালিত বিড়াল

করোনার বিরুদ্ধে মোদীর যুদ্ধ ফের প্রশংসিত, এবার চিঠি লিখে কুর্নিশ জানালেন স্বয়ং বিল গেটস

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হাসপাতালে রোগীদের সংস্পর্শে এসেই সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। দেশে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসায় ৮২৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে। পাশাপাশি ২০টি হাসপাতালকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে বন্ধ করে দিতে হয়েছে। 

পরিসংখ্যান বলছে চিকিৎসাকর্মীদের সংক্রমণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে ৪২ শতাংশ চিকিৎসক সংক্রমণের শিকার। কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত ৭০.৫ শতাংশ নার্স। এবং মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছেন মোট ৮৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মী। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে প্রায় ৮৩ শতাংশ চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে। দিল্লিতে সংখ্যাখা ১১ শাতংশ এবং কর্ণাটকে ৬ শতাংশ। এভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের একটা বড় অংশ কোয়ারেন্টাইনে চলে যাওয়ায় আগামী দিনে কোভিড ১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসা নিয়ে ক্রমেই চিন্তার ভাজ গাঢ় হচ্ছে প্রশাসনের।

মহারাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের জেরে প্রায় ১০ টি হাসপাতালকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই হাসপাতালগুলির কর্মীরা কোভিড ১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসার তাঁদের সকলকেই কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়েছে। একই রকম ভাবে পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুতেও ইতিমধ্যে একাধিক হাসপাতালকে বন্ধ করতে হয়েছে।