সংক্ষিপ্ত
পুনের ঘটনার ছায়া আবার কানপুরেও! এবার বেসামাল গাড়ির ধাক্কা মৃত চার
পুনের ঘটনার ছায়া এবার কানপুরেও। রবিবার মদ্যপ অবস্থায় দুই ইঞ্জিনিয়ারকে গাড়ির তলায় পিষে দেয় ১৭ বছরের এক কিশোর। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে সারা দেশ। এবার আরও এক কিশোরের বেসামাল গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল চার জনের। কানপুরেও ঘটেছে খানিকটা একইরকমের ভয়াবহ ঘটনা। মঙ্গলবার ১৫ বছরের কিশোরের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল চারজনের। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের ঘটনা। তবে এই কিশোরের বিরুদ্ধে এর আগেও গুরতর অভিযোগ উঠেছে। এর আগেও ২০২৩ সালে দুই পথচারীকে পিষে দেয় এই কিশোর। ইতিমধ্যেই ওই কিশোরকে হেফাজতে নিয়ে বুধবার একটি জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত কিশোর কানপুরের এক বিশিষ্ট চিকিৎসকের ছেলে বলে জানা গিয়েছে। এই মামলার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া পুরান মামলাও রিওপেন করা হয়েছে। অভিযুক্তের বাবার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে বলে খবর। ১৫ বছরের ওই কিশোরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৭৯ ও ৩৩৮ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এর আগেও কিশোরের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় মামলা করা হয়েছিল।
২০২৩ সালে দুইজনকে মেরে ফেলার পরে ফের আবার কী করে গাড়ি চালাতে দেওয়া হল তা নিয়ে বাবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা ছড়িয়ে পড়তে চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে।
কানপুর সিটি কমিশনার অখিল কুমার বলেন, গত বছর অক্টোবরে আরও সাংঘাতিক কাণ্ড ঘটয়েছিল এই কিশোর। সেই সময় দুই পথচারীর মৃত্যু হয়। মারাত্মক দুর্ঘটনার সঙ্গে জড়িত হওয়া সত্ত্বেও কিশোরকে ফের কীভাবে গাড়ি চালাতে দিলেন তার চিকিৎসক বাবা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পরিবারের সমালোচনায় শামিল হয়েছেন অনেকেই। পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যখন দুর্ঘটনা ঘটে, তখন সে গঙ্গা ব্যারেজে যাচ্ছিল। গাড়ির গতি অত্যধিক বেশি থাকায় বেসামাল হয়ে দুই পথচারী সাগর নিষাদ এবং আশিস রাম চরণকে ধাক্কা মারে, মৃত্যু হয় তাঁদের।