সংক্ষিপ্ত

জি-২০ সামিট উপলক্ষ্যে কড়া নিরাপত্তা দিল্লিতে। আগামী ৯-১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিগামী ২০৭টি ট্রেন বাতিল। ৭ সেপ্টেম্বর থেকেই যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে।

 

দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতি তুঙ্গে। কিন্তু এই সম্মেলন উপলক্ষ্যে জাতীয় রাজধানীতে নিরাপত্তার কারণে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ২০৭টি দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। দুদিনের জন্য ট্রেনগুলি অস্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। মূলত যে ট্রেনগুলি ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লি পৌঁছাবে বা দিল্লি থেকে ছাড়বে সেগুলি বাতিল করা হয়েছে।

রেলওয়ে নতুন দিল্লিতে যাওয়ার জন্য ১৫টি ট্রেনের টার্মিলান পরিবর্তন করেছে। দিল্লির বাইরে বিভিন্ন স্থানে যাত্রীবাহী ৭০টি ট্রেনকে অতিরিক্ত স্টপেজ দিয়েছে। ৬টি যাত্রীবাহী ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে উত্তর রেলওয়ে ডিএমইউ সহ প্রায় ৩৬টি যাত্রীবাহী মেল এক্সপ্রেস ট্রেন কমিয়ে দিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন যেমন টাক এক্সপ্রেস, দিল্লি পাঠানকোট এক্সপ্রেস, হরিদ্বার দিল্লি এক্সপ্রেস ট্রেন এই বাতিল হওয়া ট্রেনের তালিকায় রয়েছে।

ভারতে প্রথমবারের মত বিশ্বব্যাপী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই প্রথম এত বড় সম্মেলনের আয়োজন করেছে ভারত। সম্মেলনে যোগ দিতে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির নেতারা। একাধিক দেশের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত হবেন। সেই কারণে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লির নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। নিরাপত্তার কারণেই জাতীয় রাজধানীতে বেশ কিছু রুটের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। অন্যদিকে কিছু রুটে ঘুর পথে যান চলাচলের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

G-20 Summit: জি-২০ ভারতকে বিশ্ব রাজনীতি আর অর্থনীতিতে অনেকটাই এগিয়ে দেবে

Aditya-L1: দিনে কতগুলি ছবি পাঠাবে আদিত্য এল১? জানুন সৌরযান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

Aditya L1-এর সফল উৎক্ষেপ এক ধাপ এগিয়ে দিল দেশের প্রথম সৌর অধ্যায়ন

দিল্লি প্রশাসন জানিয়েছে আগামী জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষ্যে আগামী ৭ -১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লি ও আশপাশের বেশি কিছু এলাকার জন্য বিশেষ গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে। তবে মেট্রের রেল যাতে স্বাভাবিকভাবে চলাচল করে তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। রাজঘাট, ন্যাশানাল গ্যালারি অব মর্ডান আর্ট, জাতীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকায় যান চলাচল ব্যহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পুরো দিল্লি স্তব্ধ হবে না। ওষুধ, মুদির দোকান, সবজিপাতির দোকান খোলা থাকবে। সরকারি পরিবহন ব্যবস্থা চালু থাকবে। বেসরকারি পরিবহন ব্যবস্থাও সচল থাকবে বলে জানিয়েছে প্রশাসনের একটি সূত্র।