সংক্ষিপ্ত
- সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের জের
- উপত্যকার পরিস্থিতি ছিল কার্যত থমথমে
- ৩৭০ ধারা বাতিলের পর ৪০০০ সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার
- মুক্তি পেল প্রায় ৩,১০০ জন সন্দেহভাজন
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ ক্ষমতা প্রদানকারী ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকেই কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক দিন। এরপরই উপত্যকার পরিস্থিতি ছিল কার্যত থমথমে। এই পরিস্থিতিতে সেই এলাকার আইন-শৃঙ্খলা এবং সার্বিক পরিস্থিতি ঠিক রাখতে জম্মু ও কাশ্মীরের একের পর এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে একাধিক এলাকায় উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে। কখনও মৌখিকভাবে হুমকি, কখনও হুমকি মুলক পোস্টার লাগানোর মতো ঘটনা ঘটেছে উপত্যকায়। সেইসময়ে বেশকিছু সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার।
জম্মু ও কাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনে প্রায় ৩০ জন মানুষ এই ধরণের হুমকিমুলক বার্তা দিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে দোকান-বাজার বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছিল বলে খবর। তাদের সকলকেই গ্রেফতার করেছিল উপত্যকার পুলিশ। শ্রীনগর, গন্দেরবাল, সোপোর, সোপিয়ান, পুলওয়ামার মতো জায়গা থেকে প্রায় ৩০ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত কয়েকদিনে।
আরও পড়ুন- দলীয় কার্যালয়ের সামনে স্ত্রীকে চড়, বহিস্কার করা হল বিজেপির জেলা সভাপতিকে
আরও পড়ুন- মুচলেকার বিনিময়ে মুক্তি, সই করলেন পাঁচ কাশ্মীরি নেতা, সেন্টরের ৩৬ অনড়ই
সূত্রের খবর, ৩৭০ ধারা বাতিল হওয়ার সিদ্ধান্তের পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০০-এরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩১০০ মানুষকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট-এর অধীনে তাদের মধ্যে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের তরফে আরও জানা গিয়েছে যে, মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া আর সেরকম কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই উপত্যকায়। ডিজিপি দিলবাগ সিং আরও জানান য, স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতেও বর্তমানে আর কোনও হিংসাত্মক বা উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনা ঘটেনি।