সংক্ষিপ্ত

আফগানিস্তানের প্রায় ৪০জন পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে গড়ে ওঠা জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে অপেক্ষা করছে ভারতে অনুপ্রবেশ করার জন্য।

উৎসবের মরসুমের আগে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলি(Intelligence agencies) জঙ্গি কার্যকলাপ (terror groups) সম্পর্কে বিশেষ সতর্কতা জারি করল। গোয়েন্দা দফতর সূত্রে খবর ভারতে অনুপ্রবেশ (infiltrate India) করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে (execute terror activities) পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। এই মর্মে জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। বলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে তৈরি হচ্ছে আফগান জঙ্গিরা। ৪০ জনের দল তৈরি হয়েছে অনুপ্রবেশ করার জন্য। 

গোয়েন্দাদের মতে, আফগানিস্তানের প্রায় ৪০জন পাকিস্তান সমর্থিত জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে গড়ে ওঠা জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে অপেক্ষা করছে ভারতে অনুপ্রবেশ করার জন্য। গোয়েন্দা বিভাগের কাছ থেকে এই তথ্য পেয়েছে পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী। এই ইন্টেলিজেন্স ইনপুটকে বেশ গুরুত্ব সহকারেই দেখছে নয়াদিল্লি। 

আফগানিস্তানে তালিবান সরকার দখল করার পর, পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলির সাহায্যে আফগানিস্তানের জঙ্গিদের ভারতের বিষয়ে সক্রিয়তা বেড়েছে বলে খবর। এই জঙ্গি সংগঠনগুলো আইএসআই দ্বারা সমর্থিত। সংস্থাগুলি ইনপুট পেয়েছে যে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাকিস্তানের নকয়াল সেক্টরে একটি জঙ্গি ক্যাম্পে প্রায় ৪০জন রয়েছে। তাদের টিউব এবং স্নোরকেলিং ব্যবহার করে পুঞ্চ নদী পার হয়ে ভারতে প্রবেশের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন- তালিবানদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি, নির্লজ্জ পাকিস্তানের জেদে বাতিল সার্ক সম্মেলন

গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, তারা লস্কর-ই-তইবা, হরকাত উল-আনসার (হুয়া) এবং হিজবুল মুজাহিদিনের গতিবিধি সম্পর্কে বেশ কিছু পেয়েছে। এই জঙ্গিরা টিফিন বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ পেয়েছে। ভারতে সক্রিয় স্লিপার সেলগুলির মাধ্যমে তাদের কাঁচামাল সরবরাহ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা, রাজ্য পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনীকে তাদের সম্পর্কে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 

এদিকে, কিছুদিন আগেই গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী গত এক মাসে কমপক্ষে ৬টি সন্ত্রাসবাদী দল জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করেছে। জঙ্গিদের টার্গেটে রয়েছে এদেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা জানিয়েছেন প্রায় ২৫-৩০ জন জঙ্গি সীমান্ত পেরিয়ে এইদেশে প্রবেশ করেছে। আগে থেকেই উপত্যকায় বেশ কিছু জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করছিল। তাদের সঙ্গে নতুন অনুপ্রবেশকারী  প্রায় ৩০ জন জঙ্গি হাত মেলাতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- নজরে আফগানিস্তান-সন্ত্রাসবাদ, ভারতের বার্তা তুলে ধরতে বিদেশ সফর শুরু নরেন্দ্র মোদীর

রিপোর্টে বলা হয়েছে গত মাস থেকেই জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত গুলির লড়াই অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। পাক সেনা বাহিনী একাধিকবার সীমান্ত চুক্তি অগ্রাহ্য করে গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।