সংক্ষিপ্ত

কর্নাটক সরকার যখন স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়েই ভয়ের ছবি ধরা পড়ল বেঙ্গালুরুতে। চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে প্রায় ৫০০ শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।

দেশে করোনার গ্রাফ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। কিন্তু, এরই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বেঙ্গালুরু। সেখানে শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যেই সেখানে প্রায় ৫০০ শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর ফলে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে অভিভাবকদের মনে। যদিও এ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই বলে বৃহৎ বেঙ্গালুরু মহানগরপালিকার (বিবিএমপি) তরফে জানানো হয়েছে। 

কর্নাটক সরকার যখন স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে, ঠিক সেই সময়েই ভয়ের ছবি ধরা পড়ল বেঙ্গালুরুতে। স্বাস্থ্য সংস্থাগুলির মতে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই দেশে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। আর সেই কারণে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে দেশবাসীকে। করোনা টিকা যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করার অনুরোধ করছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বেঙ্গালুরুতে শিশুদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে।  

বিবিএমপির তথ্য অনুসারে, বিভিন্ন বয়সের শিশু রয়েছে আক্রান্তদের মধ্যে। ০ থেকে ৯ বছর বয়সিদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ জন। অন্যদিকে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের মধ্যে ৩০৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। তার মধ্যে গত পাঁচ দিনেই আক্রান্ত হয়েছে ২৬৩ জন।

আরও পড়ুন- ৫০০ বছর পর রুপোর দোলনায় দোল খেলেন রামলালা, অযোধ্যায় জমকালো শ্রাবন ঝুলন উৎসব

আরও পড়ুন- বাজারে আর মিলবে না প্লাস্টিকের কাঁটা-চামচ-গ্লাস, উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ মোদী সরকারের

বিবিএমপি-র বিশেষ কমিশনার (স্বাস্থ্য) রণদীপ ডি জানিয়েছেন, এ নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এই সংখ্য়া হয়তো আরও বাড়বে। কিন্তু, বিষয়টি বিপজ্জনক জায়গাতে পৌঁছাবে না। তিনি বলেন, "জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহ ও অগাস্টের প্রথম সপ্তাহের পরিসংখ্যান আমরা খতিয়ে দেখেছি। তখনকার সংখ্যার সঙ্গে এখনকার সংখ্যা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। পরিসংখ্যান থেকে এটা স্পষ্ট যে, ০ থেকে ১৯ বছর বয়সিদের মধ্যে আক্রান্তের হার ১৪ শতাংশেই রয়েছে। খুব একটা বিশাল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।"

এছাড়া বিবিএমপির তরফে একাধিক হাসপাতালেও খোঁজ নিয়ে দেখা হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কোনও শিশুর শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতি হয়েছে কিনা বা গুরুতর উপসর্গ নিয়ে কেউ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে কিনা সেই বিষয়গুলি খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তবে সব হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, বেশিরভাগ শিশুই উপসর্গহীন করোনায় আক্রান্ত বা উপসর্গ থাকলেও তা খুবই সামান্য। যা বাড়িতে থেকেই নিরাময় সম্ভব।   

আরও পড়ুন- মিশিয়ে দিলে ফল হিতে বিপরীত হতে পারে, সতর্ক করলেন সাইরাস পুনাওয়ালা

আরও পড়ুন- Vehicle Scrappage Policy - কী এই নীতি, এতে করে কী লাভ হবে আমার-আপনার, জানুন বিস্তারিত

রণদীপ বলেন, "যে সব শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তাদের বেশিরভাগের শরীরে সংক্রমণ এসেছে বাবা-মায়ের থেকে। আবার অনেক সময় শিশুরাও বাইরে থেকে সেই সংক্রমণ বহন করে বাড়িতে এসেছে। তবে আমরা আরও পরীক্ষা বাড়াচ্ছি। তাতে হয়তো আরও অনেক শিশুর শরীরেই করোনার সংক্রমণ ধরা পড়বে। তবে তাদের বেশিরভাগই উপসর্গহীন হবে।"

এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের তরফে বলা হয়েছিল যে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। আর সেই পরিস্থিতিতেই শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জেগেছে যে তাহলে কি করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। যদিও এনিয়ে এখনও পর্যন্ত সঠিক কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। 

YouTube video player