সংক্ষিপ্ত
- আমফানে বিধ্বস্ত বাংলার উদ্ধার কার্যে হাত লাগাতে এসেছিল এনডিআরএফ
- কটকে ফিরতেই তাঁদের করোনা পরীক্ষা করায় ওড়িশা সরকার
- এনডিআরএফ দলের ৫০ জন সদস্যের রিপোর্ট পজিটিভ আসে
- এরাজ্য থেকেই করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছে ওড়িশা সরকার
বিএসএফ থেরে সিআরপিএফ। সেনাবাহিনী থেকে নৌবাহিনী, করোনা সংক্রমণের শিকার হতে হয়েছে জওয়ানদের। সংসদ থেকে দিল্লির কেন্দ্রীয় মন্ত্রকগুলিতেও মারণ ভাইরাসের অবাধ বিচরণ। এবার ওড়িশার এনডিআরএফ কর্মীদের শরীরেও মিলল মারণ সংক্রমণ। সুপার সাইক্লোন আমফানের মোকাবিলা করতে এরাজ্যে এসে করোনা নিয়ে ওড়িশায় ফিরলেন ৫০ জন সদস্য।
গত মাসের ২০ তারিখ সুন্দরবনে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আমফান। সেই সময় প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা থেকে বাংলায় উদ্ধারকার্যে এসেছিলেন ১৯০ জনের এনডিআরএফ-এর একটি দল। তাঁরা কটকে ফিরতেই করোনা পরীক্ষা করা হয়। এনডিআরএফ-এর ডিজি এস এন প্রধান ট্যুইট করে জানান, “অনুসন্ধান করে দেখা গিয়েছে, সাইক্লোন আমফান উদ্ধারকাজে যাওয়া ৫০ জনের দেহে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ওড়িশায় ফিরে আসার পর তাঁদের করোনা পরীক্ষা করা হলে এই রিপোর্ট পাওয়া যায়। ১৯০ জনেরই করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। বাকিরা সুস্থ আছে।”
ওড়িশা রাজ্য প্রশাসনের একাংশের আশঙ্কা, পশ্চিমবঙ্গ থেকেই করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ওই কর্মীরা। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও ওড়িশা থেকে দমকল ও ওড়িশার রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ছ’শো কর্মী এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গে। তাঁদেরও কোভিড টেস্ট হচ্ছে। সেই রেজাল্ট এলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করছে ওড়িশা প্রশাসন।
জুলাইয়ের শেষে দিল্লিতে আক্রান্ত হবেন সাড়ে ৫ লক্ষ, এখনও গোষ্ঠী সংক্রমণ মানতে নারাজ সরকার
গত ৯ দিনে নেই কোনও মৃত্যুর খবর, এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি করোনা লড়াইয়ে পথ দেখাচ্ছে দেশকে
দেশে দৈনিক সংক্রমণে ফের রেকর্ড, এবার করোনার উৎসস্থল উহানকে একাই ছুঁয়ে ফেলতে চলল মুম্বই
এদিকে এই প্রথম জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এতজন একসঙ্গে আক্রান্ত হলেন। এদিকে দিল্লিতেও এনডিআরএফের ২২ জন সদস্যের করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গিয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।
তবে ভারতীয় জওয়ানদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন সিআরপিএফ-এর কর্মীরা। সংখ্যা প্রায় ১৫০০ ছুঁয়েছে। এদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যুও হয়েছে। এর পরেই রয়েছে বিএসএফ জওয়ানরা। তবে বিএসএফ কর্মীদের সুস্থতার হার বেশি। ৫৩৫ জন বিএসএফ কর্মী আক্রান্ত হলেও ১০৮ জন এখন চিকিৎসাধীন।