সংক্ষিপ্ত

  • গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষে কোনও ভারতীয় জওয়ান নিখোঁজ নেই
  • আগেই বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল ভারতীয় সেনা
  • এবার আহতের সংখ্যা স্পষ্ট করে জানাল ভারতীয় বাহিনী
  • আহতরা এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ ফিরবেন বলে জানা যাচ্ছে

সোমবার রাতে লাদাখ সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছিল চিনা সেনা। চিনা বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে এক সেনা আধিকারিক সহ ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার খবর শিকার করে নেয় ভারতীয় সেনা। তারপর থেকেই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছিল এই সংঘর্ষে মোট কতজন সেনার হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। অবশেষে এই নিয়ে তথ্য দিল সেনা বাহিনী। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতের সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন মোট ৭৬ জন সেনাজওয়ান। তাঁরা প্রত্যেকেই এখন স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছেন।

এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, লাদাখে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ৭৬ জন ভারতীয় জওয়ানের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে। বর্তমানে তাঁদের কারও অবস্থাই আশঙ্কাজনক নয়। আশা করা হচ্ছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে  সকলেই ফের কাজে যোগ দিতে পারবেন। 

আরও পড়ুন: চিনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের বৈঠকে অধরা সমাধান, রাশিয়া থেকে নতুন যুদ্ধ বিমান কেনার প্রস্তাব বায়ুসেনার

জানা যাচ্ছে, সোমবার রাতের সংঘর্ষ গুরুতর ভাবে আহত হয়েছিলেন ভারতীয় সেনার ১৮ জন জওয়ান। লে-র হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। ভারতীয় সেনা জানাচ্ছে, বাকি ৫৮ জনের আঘাত ততটা গুরুতর নয়। তাঁদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা সকলেই স্থিতিশীল রয়েছেন ও দ্রুত সেরে উঠছেন।

এরআগে সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানান হয়েছিল, সোমবার রাতে চিনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান নিখোঁজ হয়েছেন। তারপর থেকেই বিভিন্ন বিদেশি মিডিয়ায় দাবি করা হচ্ছিল সেদিনের সংঘর্ষের পর এখনো বহু ভারতীয় সেনা নিখোঁজ রয়েছেন। তবে বৃহস্পতিবারই সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়, গালওয়ান সংঘর্ষে যে সমস্ত ভারতীয় সেনা জড়িত ছিলেন তাঁদের সকলেরই হিসাব রয়েছে। নিখোঁজ অবস্থায় নেই কোনও জওয়ান। 

আরও পড়ুন: বাণিজ্যে এখনও ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’,মহারাষ্ট্রে ৭৬০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ চিনা গাড়ি সংস্থার

এদিকে ভারতীয় সেনার তরফে হতাহতের সংখ্যআ জানান হলেও এখনও  নিজেদের তরফে হতাহত নিয়ে নিশ্চুপ রয়েছে  চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। চিনা সরকারের তরফেও এনিয়ে মুখো খোলা হয়নি। তবে সোমবার সংঘর্ষে চিনেরও ৩০ জনের বেশি সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে বিভিন্ন বিদেশি সংবাদমাধ্যম।