সংক্ষিপ্ত

Terrorists in Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরে ( Jammu and Kashmir) এখনও ৭৬ জন জঙ্গি (terrorists) সক্রিয় রয়েছে। যার মধ্যে ৫৯ জন হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর -ই-তৈবার সদস্য।

 

Terrorists in Kashmir: জম্মু ও কাশ্মীরে ( Jammu and Kashmir) এখনও ৭৬ জন জঙ্গি (terrorists) সক্রিয় রয়েছে। যার মধ্যে ৫৯ জন হিজবুল মুজাহিদিন, জইশ-ই-মহম্মদ ও লস্কর -ই-তৈবার সদস্য। সম্প্রতি ভারত সরকারের একটি সূত্র তেমনই দাবি করেছে। তথ্যে দেখা যাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় জঙ্গির সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। সেখানে ২০২৪ সালের একই সময় ৯১ জন জঙ্গি সক্রিয় ছিল।

সূত্রের খবর, ৭৬ জন জঙ্গির মধ্যে ১৭ জন স্থানীয় জঙ্গি যারা কেন্দ্রীয় শাসিত এই অঞ্চলে রয়েছে। এই ১৭ জন জঙ্গি ১৯৮০ শেষ দিন থেকেই ভূস্বর্গে হিংসা ছড়াচ্ছে। যার কারণে কাশ্মীর একটা সময় হটস্পট হয়ে উঠেছিল। এদেরকে ইন্ধন দিত পাকিস্তানের জঙ্গিরা। এদের মাধ্যমেই সীমান্ত অনুপ্রবেশ ও মৌলবীদের প্রচেষ্টার চলে। এরাই কাশ্মীরে বাকি জঙ্গিদের ইন্ধন দেয়। পাশাপাশি জঙ্গি তৈরির প্রশিক্ষণ শিবিরও চালায়। সূত্রের খবর ৫৯ জন সক্রিয় বিদেশি জঙ্গির মধ্যে তিন জন হিজবুল মুজাহিদিন, ২১ জন জিইশ আর ৩৫ জন লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য । তবে ১৭ জন স্থানীয় জঙ্গিদের মধ্যে ১৪ জনই উপত্যকায় সক্রিয় রয়েছে।

২০২৪ সালের ৯১ জন জঙ্গির মধ্যে ৬১ জন বিদেশী সন্ত্রাসী এবং ৩০ জন স্থানীয় সন্ত্রাসী ছিল। যে ২০২২ সালে মোট ১৩৫ জন সন্ত্রাসী সক্রিয় ছিল। তাদের মধ্যে ৮৫ জন বিদেশী জঙ্গি এবং ৫০ জন স্থানীয় জঙ্গি ছিল। ২০২২ সালে সক্রিয় জঙ্গির সংখ্যার তুলনায়, ২০২৩ সালে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীর সংখ্যা প্রায় ৪৮.৩৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কাশ্মীরের কর্মকর্তারা এনইএকে যে তথ্য দিয়েছেন তাতে স্পষ্ট যে অধিকাংশই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার সক্রিয় সদস্য।

জম্মু ও কাশ্মীরে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদীর সংখ্যা ক্রমাগত হ্রাসের কারণ এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান তীব্রতর করার । সক্রিয় জঙ্গিদের সন্ধান এবং নিরপেক্ষ করার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। সরকার সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে। আর সেই কারণেই জঙ্গিদের নেটওয়ার্কের ওপর নজর রাখা হয়। পরিস্থিতির ওপর পর্যবেক্ষণ করে কেন্দ্রীয় সংস্থার। যদিও তারই মধ্যে হিজবুল মুজাহিদিনরা এখনও জঙ্গিদের নিয়োগের ওপর মনোনিবেশ করেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।