সংক্ষিপ্ত
চামরাজনগরের সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া ৮ বছর বয়সী তেজস্বিনী হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। সকালে সুস্থ থাকা সত্ত্বেও, সে স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং হাসপাতালে মৃত ঘোষিত হয়, যা তার পরিবারকে বিধ্বস্ত করে।
চামরাজনগরে একটি মহাসংকট ঘটেছে যখন ৮ বছর বয়সী তেজস্বিনী নামের ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রী স্কুলে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটে সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে, যা তার পরিবার এবং সহপাঠীদেরকে শোক ও অবিশ্বাসে ফেলে দেয়।
তেজস্বিনী অন্য দিনের মতো স্কুলে গিয়েছিল, তার বাবা-মা সকালে তাকে বিদায় জানিয়েছিলেন। তারা কখনও ভাবতে পারেননি যে এটিই হবে তাদের মেয়েকে জীবিত দেখার শেষ বার। ভয়াবহ এক ঘটনায়, প্রায় ১১:৩০ টার সময় শিক্ষককে বই দেখানোর চেষ্টা করার সময় এই ছোট্ট মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সে সবেমাত্র তার বেঞ্চ থেকে উঠেছিল, ঠিক তখনই সে হঠাৎ করে জ্ঞান হারিয়ে দেয়াল আঁকড়ে ধরে।
তার শিক্ষক তৎক্ষণাৎ তার সাহায্যে এগিয়ে আসেন এবং তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান। দ্রুত প্রতিক্রিয়া সত্ত্বেও, চিকিৎসকরা তেজস্বিনীকে মৃত ঘোষণা করেন। এই মর্মান্তিক ঘটনা স্কুল এবং তার পরিবারকে গভীর শোকে ফেলে দেয়, কারণ তেজস্বিনীর আকস্মিক মৃত্যু তার পরিচিত সকলকে হতবাক করে দেয়।
সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের অধ্যক্ষ ভ্রাতা প্রভাকরণ জানিয়েছেন, তেজস্বিনী সকালে স্কুলে আসার সময় সুস্থ ছিল, যা তার অকাল মৃত্যুর রহস্য এবং দুঃখকে আরও বাড়িয়ে তোলে। পরে তার মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ বলে নিশ্চিত করা হয়, যা সাধারণত প্রাপ্তবয়স্কদের প্রভাবিত করে, কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই নির্দোষ শিশুর জীবন কেড়ে নিয়েছে।
তেজস্বিনীকে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে একটি বেসরকারি স্কুলে পাঠিয়েছিলেন তার বাবা-মা, তাদের জন্য এই ক্ষতি অসহনীয়। তাদের মেয়েকে বড় হতে, তার শিক্ষা সম্পন্ন করতে এবং নিজের জন্য একটি জীবন গড়তে দেখার আশা চোখের পলকে ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।