- Home
- India News
- সামনের মাসেই দ্বিগুণ হচ্ছে এই ভাতা? একধাক্কায় বেতন বাড়ছে সরকারি কর্মীদের! কে কত হাতে পাবেন?
সামনের মাসেই দ্বিগুণ হচ্ছে এই ভাতা? একধাক্কায় বেতন বাড়ছে সরকারি কর্মীদের! কে কত হাতে পাবেন?
অষ্টম বেতন কমিশনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ২০২৬ সালের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। কার কত বাড়বে বেতন, আপাতত এটাই প্রশ্ন। তার আগে বড় ঘোষণা কেন্দ্র সরকারের। একলাফে দ্বিগুণ হচ্ছে এই ভাতা। ফলে সামনের মাস থেকেই মোটা টাকা অতিরিক্ত ঢুকবে ঘরে?

১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে অষ্টম বেতন কমিশনের (8th Pay Commission) আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। তারপরেই হাসি ফুটেছে লক্ষ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের মুখে। শোনা যাচ্ছে বেতন নাকি পৌঁছতে পারে ৩ লক্ষ টাকা অবধি!
তবে প্রশ্ন একটাই, এই কমিশন আসলে কবে কার্যকর হবে এবং কতটা বেতন বাড়বে? চলুন বিস্তারিত জানিয়ে দিচ্ছি আজকের প্রতিবেদনে।
অষ্টম বেতন কমিশন কবে থেকে কার্যকর হবে?
বর্তমানে চলা সপ্তম বেতন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। আর এই কমিশন শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। ধারণা করা হচ্ছে যে, অষ্টম বেতন কমিশন ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর করা হবে। তবে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, কিছু প্রশাসনিক কারণে হয়তো কিছুটা দেরি হতে পারে।
ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর কতটা বাড়বে?
প্রসঙ্গত বেতন বৃদ্ধির মূল ফর্মুলাই ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর। সপ্তম বেতন কমিশনে এই ফ্যাক্টর মাত্র ২.৫৭ ছিল। এর ফলে ন্যূনতম বেতন ৭০০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৮,০০০ টাকা হয়েছিল। তবে এবার অষ্টম বেতন কমিশনের ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৮৬ হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীদের জন্য স্বাভাবিক হারের দ্বিগুণ হারে পরিবহন ভাতা (Travel Allowance) প্রদানের খবর সামনে এল। এই বিষয়ে অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ নির্দেশিকাগুলির একটি সংক্ষিপ্তসার জারি করেছে সম্প্রতি। যা সামনে আসার পর অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছেন এই সকল কর্মীরা।
কোন সরকারি কর্মীরা এই সুবিধা পাবেন?
অর্থ মন্ত্রকের ব্যয় বিভাগ, কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দ্বিগুণ হারে পরিবহন ভাতা প্রদান সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে সকলে নয়, প্রতিবন্ধী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের জন্য এই ভাতা প্রদানে কিছু বিষয় নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
লোকোমোটর ডিসঅ্যাবিলিটি, যার মধ্যে কুষ্ঠরোগ থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তি, বামনত্ব, সেরিব্রাল পালসি, মাসকুলার ডিসট্রফি এবং অ্যাসিড হামলায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা, দৃষ্টিহীনতা এবং স্বল্প দৃষ্টি শক্তির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা, বধিরতা এবং শ্রবণ সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিরা, কথা ও ভাষার অক্ষমতা যাদের রয়েছে তারা এই ভাতার আওতায় আসবেন।
এছাড়াও বৌদ্ধিক অক্ষমতার মধ্যে নির্দিষ্ট শিক্ষণ অক্ষমতা এবং অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার অন্তর্ভুক্ত মানুষেরা, মানসিক অসুস্থতা, দীর্ঘস্থায়ী স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ভাতার আওতায় আসবেন। রক্তের ব্যাধিজনিত অক্ষমতা, হিমোফিলিয়া, থ্যালাসেমিয়া ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা এই ভাতা পাবেন।
এছাড়া একাধিক প্রতিবন্ধকতা বধির-দৃষ্টিহীনতা মেরুদণ্ডের বিকৃতি এবং মেরুদণ্ডের আঘাতও “লোকোমোটর ডিসঅ্যাবিলিটি”-এর উপ-বিভাগ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। উল্লেখ্য, প্রতিবন্ধী কর্মীদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক অতিরিক্ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কর্মজীবনে ভ্রমণ তাদের জন্য একটি বড়সড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় সরকার কর্তৃক পরিবহন ভাতা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত এই কর্মীদের বড় স্বস্তি দেবে নিশ্চিতভাবে।

