সংক্ষিপ্ত

  • গালওয়ান উপত্যকায় দুই তরফের সংঘর্ষে প্রাণহানি
  • ৩০ জন চিনা সেনা নিহত হয়েছে বলে খবর
  • হোয়াটসঅ্যাপ ও ট্যুইটারে ছড়িয়ে পড়ে মৃত চিনা সৈনিকদের নাম
  • এই নিয়ে কী বলল চিনা সরকারি সংবাদ মাধ্যম

পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে এখনও উত্তপ্ত ভারত ও চিনের রাজনীতি। গত ১৫ জুন রাতের ঘটনার জন্য দুই দেশই একে অপরের ঘারে দোষ চাপাচ্ছে। এরমধ্যে নিজেদের এক সেনা আধিকারিক সহ ২০ জন জওয়ানের শহিদ হওয়ার খর শিকার করেছে ভারতীয় সেনা। কিন্তু গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষে পিপলস লিবারেশন আর্মির ঠিক কতজন সেনা নিহত হয়েছেন, তা নিয়ে ধন্দ এখনও কাটেনি। প্রথমে সংবাদসংস্থাগুলি দাবি করেছিল সোমবার রাতের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন পিএলএর কমপক্ষে ৫ জন সৈনিক, আহতের সংখ্যা ১১। এরপর মঙ্গলবার একটি সংবাদ সংস্থা দাবি করে চিনের তরফে ৪৩ জন সেনার হতাহতের খবর রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে কোনও মৃত্যুর সংখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে লাদাখকাণ্ডে হতাহত নিয়ে বেজিং  চুপ করে থাকায় ধন্দ বাড়তেই থাকে।

আরও পড়ুন: ২ মেজর সহ ১০ ভারতীয় জওয়ানকে ৩ দিন পর নাকি মুক্তি দিল চিন, আসল সত্যিটা কী

 এদিকে সোমবার রাতে ভারত ও চিনের সংঘর্ষ নিয়ে  মার্কিন মিডিয়ার এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে,  এই ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন  চিনা সেনা নিহত হয়েছেন। মার্কিন গোয়েন্দাদের ধারণা, পূর্ব লাদাখে চিনের মারাত্মক ক্ষতিই হয়েছে। যে কারণে নিহতের সংখ্যা গোপন করে হচ্ছে। এরপরেই ভারতের এক টেলিভিশন চ্যানেলে জাবি করা হয় ১৫ জুন রাতের সংঘর্ষে ৩০ জন চিনা সৈনিক প্রাণ হারিয়েছেন। ওই টেলিভিশন চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়, চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম 'গ্লোবাল টাইমস' থেকেই এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যদি পরে নিজেদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে এই সংক্রান্ত যাবতীয় খবর মুছে দেয় সর্বভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলটি।

এমনকি সংঘর্ষে নিহত ৩০ জন চিনা সৈনিকের নামও প্রকাশ করা হয় ওই সংবাদমাধ্যমটিতে। এর পরেই দেখা যায় ভারতের ফেসবুক ও ট্যুইটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে নিহত চিনা সৈনিকদের নামগুলি।  জানা যায় চিন সীমান্তে সুরক্ষার তদারকি করা ওয়েস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের এক ব্যক্তি এই নামগুলি প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায়। 

আরও পড়ুন: তবে কী যুদ্ধ বাধছেই, খালি করা হচ্ছে চিন সীমান্ত লাগোয়া একের পর এক গ্রাম

তবে এই ধরণের কোনও তথ্যই তারা প্রকাশ করেনি বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে গ্লোবাল টাইমস। তবে বেজিং প্রশাসনের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসের প্রধান সম্পাদক গত ১৬ জুন  ট্যুইট করেছিলেন গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষে চিনা সেনারাও নিহত হয়েছেন।  

তবে ভারতের হাতে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সৈন্যের প্রাণ হানি ঘটেছে বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। কিন্তু ভারতের কাছে সেনার এই প্রাণহানি চিনের জন্য অপমানজনক ঠেকেছে। যে কারণে বেজিং হতাহতের সংখ্যা ঘোষণা করতে অনিচ্ছুক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, বেজিংয়ের ধারণা, চিনের 'শত্রু'রা এতে আরও উত্‍‌সাহিত হয়ে পড়বে। তাই ঘটনার ৩ দিন পরেও পূর্ব লাদাখে চিনের তরফে হতাহত নিয়ে কোনও বিবৃতি বেজিং দেয়নি।