ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এলাকার মানুষজন ইমাম হিসেবে তাকে বিশ্বাস করতেও শুরু করেছিলেন। আর আজাজ।সেই বিশ্বাসেরই ফয়দা তুলেছে বলেই জানা যায় । প্রায় তিন দশক ধরে তার কুকীর্তি নিয়ে তার মুখোমুখি কেউ হয়নি।
বাচ্চাদেরও ছাড়ত না অমানুষিক নির্যাতন চলছে দিনের পর দিন । আলালতের বিচারে উত্তর কাশ্মীরের সোপোরের শত শত শিশু পেল ন্যায় । প্রায় তিন দশক ধরে প্রায় হাজারখানেক শিশুর উপরে যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন এই ধর্মীয় শিক্ষক । এলাকায় পীরবাবা হিসেবে পরিচিত ছিলেন । আজাজ শেখ নামে ওই ভণ্ড পীরবাবাকে কাশ্মীরের আদালত দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করল ।
জানা যায়, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেকে এলাকায় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এলাকার মানুষজন ইমাম হিসেবে তাকে বিশ্বাস করতেও শুরু করেছিলেন। আর আজাজ।সেই বিশ্বাসেরই ফয়দা তুলেছে বলেই জানা যায় । প্রায় তিন দশক ধরে তার কুকীর্তি নিয়ে তার মুখোমুখি কেউ হয়নি। সবাই চুপ ছিল এই কারণে এলাকার মানুষজন তাকে পীরবাবা বলত। অনেক পরে হলেও কিছুদিন আগে তারা মুখ খুলেছিল এলাকাবাসী,তারপরেই এক এক করে বেরিয়েছে এই ভন্ড পীরবাবার ভয়ংকর নির্যাতনের নেপথ্যের কাহিনী।
আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার আদালত অভিযুক্ত আজাজকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে । তাকে ৭ বছর করে দুটি মেয়াদের কারাদণ্ড দুটি পৃথক মামলায় দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও তাকে করা হয়েছে।
মামলার বিষয় নিয়ে সরকারি আইনজীবী সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, অভিযুক্ত আজাজকে মোট ১৪ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দুটি নির্যাতনের মামলায় । দুটি শাস্তিই চলবে পরপর । সঙ্গে জরিমানা করা হয়েছে ৫০ হাজার টাকা ।
একজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছে তিন বছরে আজাজ তাকে ধর্ষণ করেছে কমপক্ষে ৫০০ বার । আর এই নির্যাতনের ফলে সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার কীর্তি এখানেই শেষ হবার নয়, তিনি যৌন সংসর্গ করতে বলত শিশুদের । সেই দৃশ্য সে উপভোগ করত। অভিযোগ, অনেক নির্যাতিতের বয়স নাকি ১০ বছরেরও নীচে। অন্য এক নির্যাতিত সাক্ষ্য দিয়েছেন, কোরানের শিক্ষক হিসেবে আনা হয়েছিল আজাজকে। সে এই কাজের জন্য বেছে নিতেন বিভিন্ন পরিবার থেকে শিশুদের। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের উনি চাইতেন। ২০১৬ সালের ২ মার্চশেখ আজাজের বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর হয় । টানা তদন্ত চলে এই মামলায়, ২০১৭ সালে চার্জশিট পেশ করা হয় আজাজের বিরুদ্ধে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
