সংক্ষিপ্ত
- সাত বছর আগে ধর্ষণ করেছিল দিদিকে
- তারপর থেকে ছিল গরাদের অন্ধকারে
- আটদিন আগে জামিনে মুক্ত
- তারপর নরপিশাচের থাবা পড়ল কিশোরী বোনের উপর
কথায় বলে কয়লা হাজার ধুলেও কালোই থাকে। একেকজন অপরাধীরও বোধহয় কখনও সংশোধন হয় না। উত্তরপ্রদেশের বরেলির সাম্প্রতিক একটি ঘটনা অন্তত তাইই প্রমাণ করল। সাত বছর পর ধর্ষণের মামলায় জামিনে মুক্তি পাওয়ার আটদিনের মাথাতেই নির্যাতিতার কিশোরী বোনেরও একই পরিণতি করল সোনু নামে এক আসামি।
অভিযুক্ত সোনুর বিরুদ্ধে এর এর আগে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ থেকে সাত বছর আগে নির্যাতিতা কিশোরীর দিদিকেও সে ধর্ষণ করেছিল। ওই ঘটনা নির্যাতিতার পরিবার-কে শেষ করে দেয়। ঘটনার পর থেকে আহত মহিলার মা ও বাবা বেশ কয়েকদিন বাড়ি থেকে বের হননি। সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে দেন। অবসাদে ভুগতে ভুগতে কিছু দিন পরে দুজনেই একসঙ্গে বিষ খেয়ে নিজেদের জীবন শেষ করে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন - জন্ডিস পরীক্ষা করতে গিয়ে ফাঁস দাদুর 'কীর্তি', গর্ভবতী হয়ে পড়ল নাবালিকা
ওই ঘটনায় সোনু সাজাপ্রাপ্ত হয়। গত সাত বছর সে গরাদের ভিতরেই ছিল। কিন্তু আটদিন আগে সে জামিনে মুক্তি পেয়েছিল। তারপর থেকেই নির্যাতিতার পরিবার ভয়ে ভয়ে ছিল। তাদের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করে বুধবার সোনু নির্যাতিতার বাড়ি যায়। সেই সময় বাড়িতে একমাত্র কিশোরী বোন ছিল। সে ঘুমাচ্ছিল। তাকে ঘুম থেকে তুলে বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ করে সোনু, এমনটাই অভিযোগ।
আরও প়ুন - ক্যামেরার সঙ্গে লুকোচুরি খেলে যৌনহেনস্থা, সরকারি স্কুলে লালসার শিকার ২৪ ছাত্রী
তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, নির্যাতিতা কিশোরী থানায় অভিযোগ জানাতে এসে আরেক দফা নাকাল হন বলে অভিযোগ। সারাদিন তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরানো হয়। শেষে সন্ধ্যায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে আসামিকে এখনও গ্রেফতার করা যায়নি।
আরও পড়ুন - বান্ধবীদের যৌনাঙ্গে আঘাত থেকে গণধর্ষণ, চ্যাটে শিউরে ওঠা আলোচনা স্কুলছাত্রদের