৮ মাস পরে সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি, আন্দোলনের হুমকিতেই ডিএ বাড়ল ৩ শতাংশ
দীর্ঘ ৮ মাসের অপেক্ষার অবসান। শেষপর্যন্ত মুখে হাসি ফুটতে চলছে রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মীরা। তাঁরা আন্দোলনের জয় হিসেবেই গোটা বিষয়টিকে দেখছেন।

অপেক্ষার অবসান
দীর্ঘ ৮ মাসের অপেক্ষার অবসান। শেষপর্যন্ত মুখে হাসি ফুটতে চলছে রাজ্যের ১৪ লক্ষ সরকারি কর্মীরা। তাঁরা আন্দোলনের জয় হিসেবেই গোটা বিষয়টিকে দেখছেন।
৩ শতাংশ ডিএ
রাজ্য সরকার শেষপর্যন্ত সরকারি কর্মীদের জন্য ৩ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে।
বকেয়া মেটানোর নির্দেশ
শুধু ডিএ বৃদ্ধি নয়। রাজ্য সরকার ফেব্রুয়ারির বেতনের ১.২০০ কোটি টাকারও বেশি বকেয়া পরিশোধের নির্দেশও জারি করেছে।
আন্দোলন
রাজ্য সরকারি কর্মীরা গত বছর থেকেই ডিএ বৃদ্ধির দাবিতে সরব হয়েছিল। বকেয়া বেতনের জন্য রাজ্য সরকারি কর্মীরা একাধিকবার চিঠি লিখেছিল। তাতেই সরকারের এই পদক্ষেপ।
মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা
সরকার এই নির্দেশ জারির আগে মাহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অর্থমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে সমস্যা সমাধানে দেখা করতে সময়ও চেয়েছিল। কিন্তু সরকারি কর্মীদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করে পাওনাগণ্ডা মিটিয়ে দিল রাজ্য সরকার।
সরকারি কর্মীদের যুক্তি
ডিএ নিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীদের আন্দোলন ছিল দীর্ঘদিনের। তাঁদের কথায় জুলাই মাসে তারা শেষবারের মত ডিএ পেয়েছে। কিন্তু ভোটে প্রতিশ্রুতি ছিল ডিএ নিয়ে। তা মেটাচ্ছিল না।
জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে ব্যায়
রাজ্য সরকারি কর্মীদের যুক্তি ছিল সরকার রাজ্য সরকার মুখ্যমন্ত্রী মাঝি লাডকি বাহিন, অন্নপূর্ণা এবং কৃষকদের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ প্রকল্প ঘোষণা করেছিল। তাতে খরচ হয়েছে ৯০,০০০ কোটি টাকারও বেশি। কিন্তু ডিএ দিতে নারাজ ছিল সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারের ডিএ
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে থাকেন। রাজ্যের সরকারি কর্মীরা কেন্দ্রের হারে ডিএ-র দাবিও তুলেছেন।
সরকারি কর্মীদের বক্তব্য
সরকার সাধারণত বর্ধিত ডিএ কার্যকর হওয়ার তিন থেকে চার মাস পরে প্রদান করে। কিন্তু এবার, এটি সত্যিই দীর্ঘ সময়ের জন্য বিলম্বিত হয়েছিল
বাংলার ডিএর দাবি
ডিএ বা মহার্ঘ ভাতার দাবিতে পশ্চিমবঙ্গেও সরকারি কর্মীরা দীর্ঘ দিন ধরেই আন্দোলন করছেন।