বাবার মৃত্যুর পর ছেলে আর সরকারি চাকরি পাবে না বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সহানুভূতির ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া যাবে কেবলমাত্র অসহায় পরিবারগুলোকে।
বাবা যদি সরকারি চাকরি করেন। আর চাকরির অবস্থায় তাঁর মৃত্যুর হয়, তাহলে পুত্র সেই চাকরির জন্য আবেদন করে থাকেন। প্রায় সব ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বাবার চাকরি ছেলে পেয়ে থাকে। এমনই নিয়ম যুগ যুগ ধরে চলে আসছে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে। কিন্তু, এবার থেকে আর তা হবে না। এবার থেকে আর বাবার চাকরি ছেলে পাবে না। সরকারি চাকরি কারও বংশের অধিকার নয়- বলে জানিয়ে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সদ্য এক মামলায় এমনই রায় প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট।
সদ্য এক ব্যক্তি কর্তরত অবস্থায় প্রয়াত হন। তার ছেলে সেই চাকরির জন্য আবেদন করলে সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সহানুভূতির বশবর্তী হয়ে চাকরি পাওয়া কোনও অধিকার নয়।
আদালত জানিয়েছে, সহানুভূতির বশবর্তী হয়ে কেবল মাত্রা সেই সব ব্যক্তিকেই চাকরি দেওয়া উচিত, যারা পরিবার চালানোর জন্য সংগ্রাম করছেন। এই মামলার আবেদনকারী রবি কুমার জেফের বাবা সেন্ট্রাল এক্সাইজ বিভাগের প্রধান কমিশনার ছিলেন। ২০১৫ সালের অগস্ট মাসে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর রবি সিজিএসটি এবং সেন্ট্রান এক্সাইজ (জয়পুর জোন) রাজস্থানে সহানুভূতির বশবর্তী হয়ে চাকরির জন্য আবেদন করেন।
মোট ১৯ জন এই ধরনের চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন, যার মধ্যে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রবির আবেদন খারিজ হওয়ার কারণ হল, তাঁর বাবার রেখে যাওয়া বিপুল সম্পত্তি। তাঁর বাবা দুটো বাংলা, ৩৩ একর জমি এবং প্রতি মাসে ৮৫ হাজার টাকা পেনশন রেখে গিয়েছে, যা পরিবারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
এই কারণে এই ব্যক্তির সহানুভূতির বশবর্তী হয়ে চাকরি পাওয়া কোনও অধিকার নেই বলে জানান সুপ্রিম কোর্ট। দুটি বাংলো ও ৩৩ একর জমির মালিক সে। সঙ্গে মাসে মাসে তাঁর পরিবার পচ্ছে ৮৫ হাজার টাকা পেনশন। এরপর বাবার চাকরি পাওয়ার তাঁর অধিকার নেই বলে মনে করেছে সুপ্রিম কোর্ট।


