কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতি, বিজেপির সংবিধানের ওপর লাগাতার হামলা নিয়ে আলোচনা হবে। 

এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটে হবে এআইসিসির (AICC) বিশেষ অধিবেশন। রবিবার কংগ্রেসের (Congress) মহাসচিব কেসি বেনুগোপাল এআইসিসির তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮-৯ এপ্রিল গুজরাতের আহমেদাবাদ শহরে বসবে এই বিশেষ অধিবেশন। গোটা দেশের এআইসিসি-র সব সদস্যদের এই অধিবেশনে উপস্থিত হত্ বলা হয়েছে। দুই দিনের অধিবেশনে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে তাও কংগ্রেস জনিয়েছে বিবৃতিতে।

কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মোদী সরকারের জনবিরোধী নীতি, বিজেপির সংবিধানের ওপর লাগাতার হামলা নিয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি এআইসিসির ভবিষ্যৎ কর্মসূচিও এই অধিবশেন ঠিক করা হবে। ২০২৪ সালে মহাত্মা গান্ধী এআইসিসি-র সভাপতি হয়েছিলেন। সেই ঘটনার শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান রয়েছে এই বছর। তাই কংগ্রেসও গুজরাতে অধিবেশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এআইসিসি সূত্রের খবর, দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কংগ্রেস নেতাকর্মীদের পদযাত্রার আয়োজন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বছর ২৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কংগ্রেস দেশজুড়ে একটি জনসংযোগ কর্মসূচি করবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বেণুগোপাল ঘোষিত এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, সংবিধান বাঁচাও রাষ্ট্রীয় পদযাত্রা। যা সব রাজ্যেই আয়োজন করা হবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে কংগ্রেসের গুজরাটে এআইসিসির অধিবেশন ডাকার পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক কৌশলও। এক এটি মোদীর রাজ্য। বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে কংগ্রেসের একাংশের অনুমান। অন্যদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে ক্ষমতা দখল না করতে পারলেও, মোদীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে ধাক্কা দিতে সাফল্য পেয়েছিল কংগ্রেস। ৯৯টি লোকসভা আসন জিতে ১০ বছর পর প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেয়েছে তারা, বিরোধী দলনেতা হয়েছেন রাহুল। তবে লোকসভা ভোটের ক্ষতে প্রলেপ দিতে সফল হয়েছে বিজেপি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।